ক্যামেরুন ও মালাউইর দু’টি সাংস্কৃতিক স্থানকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আফ্রিকায় ইউনেস্কোর প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর অঙ্গীকারের অংশ হিসেবেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
শুক্রবার ফরাসি গণমাধ্যম এএফপি জানায়, ক্যামেরুনের ফার নর্থ অঞ্চলে অবস্থিত দিইয়ি-গিদ-বিইয়ি পর্বতমালার নিসর্গ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি ঐতিহাসিক গুরুত্বও বহন করে। এটি ১২শ থেকে ১৭শ শতাব্দীর মধ্যকার সময়কালে নির্মিত বলে ধারণা করা হয়। এই স্থানে রয়েছে কৃষিভিত্তিক সোপানমালা, উপাসনাস্থল ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।
এদিকে, মালাবির দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত মাউন্ট মুলাঞ্জে পর্বতশ্রেণিকে ওই দেশের প্রস্তাবিত ঐতিহ্য স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এই পাহাড় অঞ্চলটি স্থানীয় সংস্কারে দেবতা, আত্মা ও পূর্বপুরুষদের আবাসস্থল বলে বিবেচিত হয়।
চলতি বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৩০টি স্থান ইউনেস্কোর বিবেচনায় এসেছে। এর মধ্যে সিয়েরা লিওনের গোলা-টিওয়াই বনাঞ্চল ও গিনি-বিসাউয়ের বিজাগোস দ্বীপমালা ইউনেস্কোর তালিকায় যুক্ত হওয়ার জন্য বিবেচনায় রয়েছে। উভয় দেশ আগে কোনো বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান পায়নি।
সিয়েরা লিওনের গোলা-টিওয়াই বন বিভিন্ন বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর আবাসস্থল, যার মধ্যে আছে বুনো হাতি। গিনি-বিসাউয়ের বিজাগোস দ্বীপমালা এক গুরুত্বপূর্ণ জীবমণ্ডল সংরক্ষণ এলাকা।
আফ্রিকার বাইরের দেশগুলোর প্রস্তাবিত স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি প্রাগৈতিহাসিক। এর মধ্যে রয়েছে ফ্রান্সের পশ্চিমাঞ্চলের কারনাক প্রস্তররাজি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বাংগুচেওন স্ট্রিম-এর পাথর খোদাই।
বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া কোনো স্থান সাধারণত ব্যাপক পর্যটন আগ্রহ সৃষ্টি করে, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহায়তা ও অর্থায়নের পথও খুলে যায়।
ইউনেস্কোর মতে, দূষণ, যুদ্ধ ও অবহেলার ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থান হুমকির মুখে পড়েছে, সেগুলোর সংরক্ষণে এই তালিকাভুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম।
সূত্র : এএফপি
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত