আবারও ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাদের সামরিক চাপ আরও জোরদারের অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বৃহস্পতিবার জানান, তারা একটি ‘গুণগত সামরিক অভিযান’ পরিচালনা করেছে। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, তারা ওই হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
একইসঙ্গে, গ্রিসের পরিচালিত ও লাইবেরিয়ার ফ্ল্যাগধারী ‘ইটারনিটি সি’ নামক একটি পণ্যবাহী জাহাজে হুথিদের হামলায় অন্তত চারজন নাবিক নিহত হয়েছেন বলে জানায় সামুদ্রিক নিরাপত্তা সূত্র। মোট ২৫ জনের মধ্যে ১০ জন নাবিককে সমুদ্র থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, ১১ জন এখনও নিখোঁজ। এর মধ্যে ৬ জন হুথিদের হেফাজতে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার হুথি মুখপাত্র সারি জানান, তারা জাহাজের কয়েকজন ক্রুকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছেন। তবে ইয়েমেনে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এক বিবৃতিতে একে ‘অপহরণ’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেছে, হুথিরা নাবিকদের হত্যার পর জাহাজ ডুবিয়েছে ও উদ্ধার অভিযানকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
ইটারনিটি সি’র ওপর এই হামলার ঠিক এক দিন আগেই হুথিরা ‘ম্যাজিক সিজ’ নামক আরও একটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে ডুবিয়ে দেয়। তবে ওই জাহাজের সব নাবিককে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই ধারাবাহিক হামলার পর হুথিরা ঘোষণা করে, ইসরায়েলি মালিকানাধীন বা ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির জাহাজগুলো এখন তাদের ‘বৈধ লক্ষ্যবস্তু’। তারা জানায়, যতদিন না গাজায় আগ্রাসন বন্ধ হচ্ছে এবং অবরোধ প্রত্যাহার করা হচ্ছে, ততদিন লোহিত ও আরব সাগরে ইসরায়েলি নৌ-চলাচল বন্ধ রাখতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সূত্র: আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/একেএ