নেত্রকোনায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিয়ের বাস উল্টে কবির মিয়া নামে (৬৫) একজন বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। তিনি আটপাড়া উপজেলার লুনেস্বর ইউনিয়নের কাওপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে ও বরের মামা।
এসময় আরও ১২জন বরযাত্রী আহত হয়েছেন। তার মধ্যে মিলন মুন্সি নামে ৭০ বছরের বৃদ্ধকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে কনের বাড়ির সন্নিকটে নেত্রকোনা সদর উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়নের চুচুয়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও বরযাত্রী সূত্রে জানা গেছে, জেলার আটপাড়া উপজেলার মুন্সিপুর গ্রাম থেকে দুটি বাস ও একটি মাইক্রোযোগে বরযাত্রী নিয়ে সদর উপজেলার চুচুয়া গ্রামে কনের বাড়ি যাচ্ছিলেন বর মোক্তাল হোসেন। হঠাৎ দ্বিতীয় বাসটি কনের বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এসময় দু থেকে তিনটি ডিগবাজী খায় বাসটি। এতে কমপক্ষে শিশু বৃদ্ধসহ অন্তত জন আহত হয়। পরে বাসের নীচে পানিতে পড়ে থাকা আরও দুজন কবির মিয়া ও মিলন মুন্সিকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কবির মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজনকে ময়মনসিংহ প্রেরণ করেন। এছাড়া বাকীরা চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়।
আহত বরের তালই মো. রহিম উদ্দিন জানান, সদর উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়নের চুচুয়া বনগাঁও গ্রামে তারা বরযাত্রী হয়ে আসছিলেন। বর আটপাড়া উপজেলার শুনুই ইউনিয়নের মোক্তাল হোসেনের সাথে। দুটি বাসে করে। বরকে পাঠিয়েছিলেন মাইক্রোবাসে।
প্রায় ১০০ জনের উপরে বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়ির কাছে পৌঁছাতেই পিছনের বাসটি খালি সড়কে কয়েকটি ডিগবাজী খায়। কোন কারণ ছাড়াই ফাঁকা সড়কে বাসটি খাদে উল্টে পড়ে যায়। এতে বেয়াই কবির মিয়া ও তালই মিলন মুন্সি নীচে পড়ে যান। এছাড়া অন্যান্য যারা আহত তারা নিজেরাই ওঠে হাসপাতালে আসতে থাকেন। পরে দুজনকে নিয়ে নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে আসলে একজনকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ১২ জনের মতো আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতের লাশ হাসপাতালে রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বিডি প্রতিদিন/এএম