টেনিস খেলায় আগ্রহী ছিলেন মেয়ে। সেই আগ্রহ থেকেই গড়ে তুলেছিলেন নিজস্ব একাডেমি। কিন্তু মেয়ের এমন জীবনযাপনে প্রতিবেশীদের কটাক্ষ এবং ‘সম্মানহানির’ অভিযোগ এনে শেষ পর্যন্ত নিজ মেয়েকেই গুলি করে হত্যা করেছেন এক বাবা। মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের দিল্লি সংলগ্ন গুরুগ্রামের সুশান্ত লোক এলাকায়।
নিহত রাধিকা যাদব (২৫) ছিলেন জাতীয় পর্যায়ের টেনিস খেলোয়াড়। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে তিনি সুশান্ত লোক ফেজ-২ এলাকায় নিজস্ব টেনিস একাডেমি পরিচালনা করছিলেন। তার বাবা দীপক যাদব (৫৭) মেয়েকে বারবার একাডেমি বন্ধ করার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তিনি মেয়েকে পাঁচটি গুলি করেন, যার মধ্যে তিনটি গুলি রাধিকার শরীরে বিদ্ধ হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা রাধিকাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, দীপক যাদব মেয়ের একাডেমি চালানো নিয়ে অপমানিত বোধ করতেন। তার অভিযোগ, গ্রামের মানুষ রাধিকার জীবনযাপন নিয়ে নানা কটাক্ষ করত, যা তিনি মেনে নিতে পারতেন না। এসব কারণেই তিনি ক্ষোভে মেয়েকে হত্যা করেন বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
এ ঘটনায় রাধিকার চাচা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, পুরো বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং দীপক যাদবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে, এই ঘটনায় গুরুগ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একজন সম্ভাবনাময় ক্রীড়াবিদের জীবন এমন নির্মম পরিণতিতে থেমে যাবে, তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি।
বিডি-প্রতিদিন/শআ