রাজধানীর বাজারে সরবরাহ বাড়ায় সামান্য কমেছে সবজির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমলেও পিঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। ডিমের দামও বেড়েছে ডজনে ৫ টাকা। চার মাস ধরে চলা অস্থির বাজারে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে সাধারণ মানুষ। গতকাল মালিবাগ ও শান্তিনগর বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বর্ষা মৌসুমে সবজি সরবরাহ কম হয়েছে। তাই দাম বেশি ছিল। এখন সবজি আসতে শুরু করেছে। তাই সামান্য দাম কমেছে। সরবরাহে বিঘ্ন না ঘটলে, সবজির দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
বাজারে গোল বেগুন কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮০-২০০ টাকা। এ ছাড়া পটোল ৭০, করলা ৮০, ঢ্যাঁড়স ৭০, শসা ৭০, লাউ ৬০, মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০, ফুলকপি ১৪০, বাঁধাকপি ১৩০, টম্যাটো ১৫০, বরবটি ৭০-৯০, আলু ৩০ এবং কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০-২০ টাকা কম। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা কেজি, যা ছিল ২২০ টাকা। তবে বাজারে মানভেদে পেঁয়াজের দাম ৮৫-৯০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া রসুন ২২০, আদা ২৮০, ধনেপাতা ৩০০ টাকা কেজি আর লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা হালি। এদিকে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ এবং সোনালি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি। ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪৫ টাকা। বাজারে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি। কাতল ৪০০, পাঙাশ ২০০, তেলাপিয়া ২০০-২২০, চিংড়ি ৭০০-৭৫০, কই ২৮০-৩০০, দেশি শিং ৭০০-৭৫০, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার, আর ছোট আকারের (৪০০-৫০০ গ্রাম) ইলিশ ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মিনিকেট চালের মধ্যে ডায়মন্ড, মঞ্জুর ও সাগর ব্র্যান্ড বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, রশিদ ৭২ টাকায়, আর মোজাম্মেল বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা কেজি।