কলম্বিয়ার রাজধানীতে শুক্রবার মার্কিন দূতাবাসের বাইরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে বিক্ষোভকারীদের তীর ও বিস্ফোরক নিক্ষেপে চার পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বোগোটার মেয়র কার্লোস ফার্নান্দো গ্যালান বলেন, “অপরাধীদের মধ্যে কয়েকজন আগুন লাগানোর যন্ত্র, বিস্ফোরক ও তীর-ধনুক দিয়ে দূতাবাসে হামলা চালায়। এই হামলাকারীরা মুখোশ পরা ছিল।”
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় চার পুলিশ কর্মকর্তা মুখ, পা ও হাতে আঘাত পেয়েছেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দূতাবাসের বাইরে একটি বিশৃঙ্খল দৃশ্যের ছবি শেয়ার করেছে, যার মধ্যে একটিতে একজন কর্মকর্তার বাহুতে তীর আটকে আছে।
‘কংগ্রেসো দে লস পুয়েব্লোস’ (পিপলস কংগ্রেস) নামে পরিচিত দলটির মুখপাত্র জিমি মোরেনো সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রতিবাদী দলটি ট্রাম্পের ডানপন্থী এজেন্ডার নিন্দা জানাতে দূতাবাসের বাইরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের সার্বভৌমত্বের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনও ধরনের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে।”
জিমি বলেন, ফিলিস্তিনিদের গণহত্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জড়িত, ল্যাটিন আমেরিকায় তাদের হস্তক্ষেপ ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে তাদের হুমকির বিরুদ্ধে এবং ভেনিজুয়েলিয়ান বলিভার মডেলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছি।
দলটি সোমবার বোগোটার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু করে। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত তারা সহিংস হয়ে ওঠেনি।
কলম্বিয়ার বামপন্থী প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, তিনি বোগোটায় মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন।
গুস্তাভো এই বছর বিভিন্ন সময়ে ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়ে পড়েন।
তিনি আরও লিখেন, আরও একটি উগ্রপন্থী দল দূতাবাসের পাহারারত পুলিশকে আক্রমণ করেছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকজন তরুণ সদস্য তীরের আঘাতে আহত হয়েছেন।
বিক্ষোভকারী দলটি একটি বুলেটিনে পেট্রোর সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছে। তবে ‘একটি সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী ফ্রন্ট’ গড়ে তোলার জন্য তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র: এএফপি
বিডি প্রতিদিন/একেএ