যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের সব দিক দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে (বিপিএসসি) চালু করা হয়েছে চিত্রাঙ্কন, নৃত্য, সংগীত, তায়কান্দো ও ফুটবলের মতো সহশিক্ষা কার্যক্রম। গতকাল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে ‘ট্যালেন্টস ডেন’ নামে বিশ্বমানের এ সহশিক্ষা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আনিছুর রহমান। এ সময় বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মেজর (অব.) মহসিনুল করিম উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ আনিছুর রহমান বলেন, ‘এ সহশিক্ষা কার্যক্রম বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পক্ষ থেকে সব শিক্ষার্থীর জন্য উপহার। এর জন্য আলাদা করে কোনো ফি দিতে হবে না। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে সব ধরনের সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া, বিতর্ক ও ভাষাশিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হবে। এখানকার সব শিক্ষার্থীকে সাঁতার শেখানো হবে। শিগগিরই আমরা আত্মরক্ষার কৌশল জুডো শিক্ষা ও ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব চালুর অপেক্ষায় আছি। আগামী বছর থেকে আমরা পবিত্র কোরআন ও আরবি ভাষা শিক্ষা চালু করব।’ তিনি বলেন, ‘ট্যালেন্টস ডেনের লক্ষ্য হলো আমাদের শিক্ষার্থীদের এমনভাবে গড়ে তোলা, যাতে তারা কেবল একাডেমিকভাবে নয়, ব্যক্তিত্ব, সৃজনশীলতা ও দলগত নেতৃত্বেও বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। ট্যালেন্টস ডেনের এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের দূরদর্শী নেতৃত্ব ও উদারতার ফলে। তিনি চান এখানকার শিক্ষার্থীরা শুধু লেখাপড়াতেই ভালো করবে না, তারা সততা ও নানামুখী প্রতিভা বিকশিত করে দেশের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।’ তিনি বলেন, ‘ট্যালেন্টস ডেন উদ্বোধনের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীদের সামনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো, যেখানে তারা নিজেদের প্রকৃত প্রতিভা আবিষ্কার ও বিকাশের সুযোগ পাবে।’
মেজর (অব.) মহসিনুল করিম বলেন, ‘বসুন্ধরা চেয়ারম্যান মহোদয়ের চাওয়া একটাই-এখানে শিক্ষার্থীরা শুধু লেখাপড়াই করবে না, তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকবে। ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধ নিয়ে ভালোমানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। এখানে ধর্মচর্চাকেও অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ স্কুল থেকে কোরআনে হাফেজ হওয়ার সুযোগও রাখা হচ্ছে।’
বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের কিন্ডারগার্টেন শাখার শিক্ষার্থী ইনায়ার মা জান্নাতুস সালিমা অনন্যা বলেন, ‘নতুন স্কুল, কেমন হবে এটা নিয়ে উদ্বেগ ছিল। তবে এখন আমি সন্তুষ্ট। এক স্কুলে সব পেয়েছি। স্কুলের পরিবেশ, একাডেমিক ভবন, খেলার মাঠ, শিক্ষকদের আন্তরিকতা, বিস্তৃত পরিসরের সহশিক্ষা কার্যক্রম সবকিছু সেরা। ঢাকার অন্য কোনো স্কুলে এমন সুযোগ আছে বলে আমার জানা নেই। আশা করি এ প্রতিষ্ঠান থেকে যারা লেখাপড়া করে বের হবে, তারা সত্যিকার অর্থে রাষ্ট্রের সুনাগরিক হবে।’
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা হয়। পরে উপস্থিত অতিথিরা বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন। শেষ পর্বে অনুষ্ঠিত হয় স্টুডিও ও মাঠভিত্তিক প্রদর্শনী।