চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে পোশাক রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ইউরোস্ট্যাটের সবশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই আট মাসে ইইউর পোশাক আমদানিতে ৯ দশমিক ২৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যার মোট মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৯০ কোটি ইউরো।
এ সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক আমদানির পরিমাণ বেড়েছে ১৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। যদিও প্রতি কেজিতে গড় দাম (ইউনিট প্রাইস) কমেছে ৪ দশমিক ০১ শতাংশ। বাংলাদেশও এ সময়ে ইউরোপের বাজারে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি-আগস্ট সময়ের ১ হাজার ১৯২ কোটি ইউরোর তুলনায় ২০২৫ সালের একই সময়ে রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৪৮ কোটি ইউরো। ফলে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকরপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। এর মধ্যে পোশাকের পরিমাণ বেড়েছে ১৪ দশমিক ২৮ শতাংশ। প্রতি কেজির গড় দাম কমেছে ১ দশমিক ০১ শতাংশ। একই সময়ে চীন, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়াও ইউরোপীয় বাজারে তাদের রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। চীনের পোশাক রপ্তানি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ১৭ দশমিক ১৯ শতাংশ। দেশটি ২০২৫ সালের জানুয়ারি-আগস্ট সময়ে ইউরোপে ১ হাজার ৬৯১ কোটি ইউরোর পোশাক রপ্তানি করেছে। যদিও তাদের ইউনিট প্রাইস ০ দশমিক ৭৬ শতাংশ কমেছে। তবুও রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে ১৮ দশমিক ০৯ শতাংশ।
তুরস্কের ইউরোপে পোশাক রপ্তানি কমেছে ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ, যার পরিমাণ ৫৭২ কোটি ইউরোতে নেমে এসেছে। তবে ভিয়েতনাম ১৫ দশমিক ৮১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। যার রপ্তানি মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৮৪ কোটি ইউরো। দেশটি প্রতি কেজির গড় দাম ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ বাড়াতে সক্ষম হয়েছে।
বিএজিএমইএর সাবেক পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, আগস্ট মাসে পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন ছিল। ওই মাসে ইউরোপের মোট আমদানি ও বাংলাদেশের রপ্তানি দুটিই জুলাইয়ের তুলনায় কিছুটা হ্রাস পায়।
তবুও চীন আগস্টেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখে, যা ইউরোপের বাজারে তাদের কৌশলগত মনোযোগের ইঙ্গিত দেয়। মার্কিন বাজারে চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও চীন ইউরোপে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করছে।