এবার বছরজুড়েই ছিল ইলিশের চড়া দাম। পয়লা বৈশাখ সামনে রেখে বাজারে চাহিদা বাড়ায় ইলিশের দাম হয়েছে আকাশচুম্বী। বাজারে সর্বনিম্ন ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা দরে। ১ কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২২০০ টাকায়। জাটকার কেজি পৌঁছে গেছে ২২০ টাকায়। অন্যদিকে রোজার মাসজুড়ে স্বস্তিতে থাকা সবজির বাজারেও হঠাৎ বেড়েছে অস্বস্তি। লতি-বরবটির মতো সবজি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। এ ছাড়া গ্রীষ্মের সবজির মধ্যে কাঁকরোলের কেজি ১৬০ টাকায় পৌঁছেছে।
গতকাল সরেজমিন রাজধানীর মহাখালী, উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজার, বনানীর বৌবাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়। ব্যবসায়ীরা জানান, আগে থেকেই ইলিশের দাম বেশি। নতুন করে পয়লা বৈশাখ কেন্দ্র করে রাজধানীর বাজারগুলোতে ইলিশের চাহিদা বেড়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ না থাকায় ইলিশের দাম আরও বেড়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে বেশির ভাগ ইলিশই ৪৫০ থেকে ৬৫০ গ্রাম ওজনের। ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায়, ৫৫০ গ্রাম থেকে ৬৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা কেজি। ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২২০০ থেকে ২৩০০ টাকা দরে। তবে অন্যান্য বাজারের তুলনায় কিছুটা কম দামে কারওয়ান বাজারে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মহাখালী বাজারে এক যুগের বেশি সময় ধরে মাছ বিক্রি করছেন মহব্বত আলী। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রতি বছর পয়লা বৈশাখ এলেই ইলিশের চাহিদা ও দাম দুটোই বাড়ে। তবে এবারে সরবরাহ কম থাকায় কিছুটা বাড়তি দামে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। ১ কেজির বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি করি সর্বনিম্ন ২২০০ ও ৫০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি করি ১৮০০ টাকায়।
এদিকে সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে লাফিয়ে বাড়ছে সব ধরনের সবজির দাম। অধিকাংশ সবজির কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। প্রতি কেজি বেগুন-করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, পটোল ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৭০ টাকা, ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি টম্যাটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। সব থেকে কম দামের সবজি পেঁপেও বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, আলুর কেজি ২৫-৩০ টাকা। এ ছাড়া অপরিবর্তিত দামে ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও সোনালি মুরগি বিক্রি হলেও গরুর মাংসের কেজিতে ৫০ টাকা বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়রার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২১০ টাকা, সোনালি ৩০০ টাকা। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে (লাল) ১৩০ ও (সাদা) ১২০ টাকায়। অন্যদিকে বড় বাজারগুলোতে ভোজ্য তেল পাওয়া গেলেও মহল্লার দোকানগুলোতে সরবরাহ নেই।