পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোক্তা তৈরিতে যুব সমাজকে নেতৃত্ব দিতে হবে। এ ধরনের উদ্যোগে থাকতে হবে তিনটি লক্ষ্য— সব ধরনের বঞ্চনা, কার্বন ও দারিদ্র্যের অবসান।
শনিবার সন্ধ্যায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ আয়োজিত 'ইমপ্যাথি-ড্রিভেন এন্টারপ্রেনারশিপ: আনভেইলিং দ্য থ্রি-জিরো অ্যাপ্রোচ' শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এটি ছিল 'থ্রি-জিরো পিচ প্রতিযোগিতা ও প্রকল্প সমাপ্তি অনুষ্ঠান।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, সব উদ্যোগ সফল নাও হতে পারে। কিন্তু সহমর্মিতা, দায়িত্ববোধ ও পরিবেশবান্ধব মানসিকতা— এই মূল্যবোধই ভবিষ্যতে গঠনমূলক উন্নয়নে সহায়ক হবে। আমাদের সমাজে উন্নয়ন মানে এখনো গাড়ি, ফ্ল্যাট ও করপোরেট পদমর্যাদা। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম এই ধারার বাইরে ভিন্নভাবে চিন্তা করছে। থ্রি-জিরো ধারণা এমন একটি উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরছে, যা প্রকৃতির সাথে মিল রেখে এগিয়ে যেতে চায়।
সাবধান করে তিনি বলেন, পুরোনো উন্নয়ন মডেল অনুসরণ করলে বিপদ বাড়বে। গাছ কেটে আবার সবুজ সনদ নেওয়া কোনো সমাধান নয়। এ ধরনের ভণ্ডামি ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক। জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে কঠিন ধাক্কা বর্তমান প্রজন্মকেই সামলাতে হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আশা প্রকাশ করে বলেন, আপনারা জাতিকে অনেক সংকট থেকে বের করে এনেছেন। আমি বিশ্বাস করি, আপনারাই বাংলাদেশকে পরিচ্ছন্ন বাতাস, নিরাপদ খাদ্য, কম কার্বন নির্গমন ও জলবায়ু সহনশীল সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে নিয়ে যাবেন।
অনুষ্ঠানে থ্রি-জিরো প্রকল্পের সফল সমাপ্তি উদযাপন করা হয়। এই প্রকল্পে তরুণরা সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী ও টেকসই উদ্যোগ তুলে ধরেছেন। এটি এসডিজি অর্জন ও জলবায়ু সহনশীলতার লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
বিডি প্রতিদিন/কেএ