বরিশাল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পোর্ট রোড খালে ভাটায় পানি থাকে না। প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় ভাটার সময় পণ্য নিয়ে নৌযানগুলো আসা-যাওয়া করতে পারে না। যার কারণে ভোগান্তিতে পড়েন নগরীর বাণিজ্যিক এলাকা হাটখোলা, কলাপট্টি, ফড়িয়ারপট্টি, পিঁয়াজপট্টিসহ গুরুত্বপূর্ণ ইলিশ মোকাম পোর্টবাজারের ব্যবসায়ীরা। বরিশাল বিভাগীয় নদী-খাল সুরক্ষা কমিটির সদস্য ও বাপার বিভাগীয় সমন্বয়ক রফিকুল আলম বলেন, শুধু ওই খালটি নয়। সব খাল ভরাট হয়েছে। এ জন্য পরিকল্পিতভাবে খাল খনন করতে হবে। তা না হলে সুফল পাওয়া যাবে না। ব্যবসায়ীরা জানান, এ খালটি এক সময় কীর্তনখোলা নদীর অংশ ছিল। পোর্ট রোড বাজারের বিপরীতে রসুলপুর চর জেগে উঠে এ খালের রূপ নেয়। সেই খালটি স্থানীয়রা পোর্ট রোড খাল হিসেবে চেনে। কিন্তু এ খালটি জেল খালের প্রবেশমুখ হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে। তারা জানান, বরিশাল নৌ-বন্দরের পাশ দিয়ে সব পণ্যবাহী নৌযান প্রবেশ করে পোর্ট রোড মাছ বাজার, কলাপট্টি, ফরিয়াপট্টি ও পিঁয়াজপট্টির বিভিন্ন আড়তে খালাস করে। এ ছাড়া পণ্য নিয়ে বিভিন্ন নৌযান এ খাল দিয়ে বরিশালের বিভিন্ন উপজেলায় নিয়ে যায়। এ খাল দিয়ে প্রতিদিন কোটি টাকার পণ্য আনা-নেওয়া করা হয়। ভাটার সময় খালে পানি থাকে না। বাধ্য হয়ে কীর্তনখোলা নদীর প্রবেশমুখে পণ্য খালাস করে। তখন পণ্য ওঠাতে ও নামাতে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় এক বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় পোর্ট রোড খাল খনন করা হয়। কিন্তু খালটি ভরাট হয়ে গেছে। বর্তমানে প্রতিদিন সকাল ৯টা ও সন্ধ্যা ৯টার সময় ভাটায় পানিশূন্য হয়ে পড়ে খালটি। এই সময় কীর্তনখোলা নদী থেকে পণ্য নিয়ে কোনো নৌযান হাটখোলা, কলাপট্টি, ফড়িয়ারপট্টি, পিয়াজপট্টিসহ গুরুত্বপূর্ণ ইলিশ মোকাম পোর্টবাজারে আসতে পারে না।