সম্প্রতি ভারতের সংসদে পাস হয়েছে ওয়াক্ফ বিল। পরে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর তা আইনে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সেই আইনের বিরোধিতায় গোটা ভারতেই বিক্ষোভ, প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন মুসলিম সমাজের একাংশ। কয়েক দিন ধরে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় পথে নেমেছেন মুসলিমরা। আলাদা করে প্রতিবাদ দেখাচ্ছে রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী বামেরা।
এই বিক্ষোভ, প্রতিবাদই কোথাও কোথাও আবার সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। রাজ্যটির মুর্শিদাবাদেই সড়ক অবরোধ, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া, বাইক ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ট্রেনে পাথর ছোড়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এমনকি গুলিও চলে, যাতে কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এমন অবস্থায় রাজ্যের মানুষকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘সব ধর্মের সকল মানুষের কাছে আমার একান্ত আবেদন, আপনারা দয়া করে শান্ত থাকুন, সংযত থাকুন। ধর্মের নামে কোনো অধার্মিক আচরণ করবেন না। প্রত্যেক মানুষের প্রাণই মূল্যবান, রাজনীতির স্বার্থে দাঙ্গা লাগাবেন না। দাঙ্গা যারা করছেন তারা সমাজের ক্ষতি করছেন।’ তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, যে আইনের বিরুদ্ধে অনেকে উত্তেজিত, সেই আইনটি কিন্তু আমরা করিনি। আইনটি কেন্দ্রীয় সরকার করেছে। তাই উত্তর যা চাওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চাইতে হবে। আমরা এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য সুস্পষ্টভাবে বলেছি- আমরা এই আইনকে সমর্থন করি না। এই আইন আমাদের রাজ্যের লাভও হবে না। তাহলে দাঙ্গা কীসের? আরও মনে রাখবেন, দাঙ্গায় যারা উসকানি দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা আমরা নেব। কোনো হিংসাত্মক কার্যকলাপকে আমরা প্রশ্রয় দিই না। কিছু রাজনৈতিক দল ধর্মকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চাইছেন। তাদের প্ররোচনায় পা দেবেন না।’