মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে চীনে প্রতিদিন গড়ে ১৮ লাখ ব্যারেলের বেশি জ্বালানি তেল রপ্তানি করছে ইরান। এই পরিমাণ জ্বালানি তেল রপ্তানিকে নজিরবিহীন বলা হচ্ছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরানি গণমাধ্যম পার্সটুডে জানিয়েছে, তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রপ্তানির ওপর প্রভাব পড়তে পারে, এমন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেই তেল রপ্তানি বৃদ্ধির খবর এসেছে।
জাহাজ ট্র্যাকিং কোম্পানি ভর্টেক্সার তথ্য অনুসারে, মার্চ মাসে ইরান থেকে চীনের তেল আমদানি প্রতিদিন ১.৮ মিলিয়ন ব্যারেল ছাড়িয়ে গেছে, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এই তথ্য চীনের শানডং প্রদেশের ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিফাইনারি সেন্টারে মজুদের মাত্রা বৃদ্ধির সাথে মিলে যায়।
এদিকে, তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ সংস্থা কেপলারের তথ্য অনুসারে মার্চ মাসে চীনে ইরানের তেলের গড় রপ্তানি ছিল প্রতিদিন ১.৭১ মিলিয়ন ব্যারেল যা ফেব্রুয়ারি মাসের রপ্তানির চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি এবং গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ফেব্রুয়ারিতে ইরান থেকে চীন প্রতিদিন গড়ে ১.৪৩ মিলিয়ন ব্যারেল জ্বালানি তেল আমদানি করেছে।
চীনে ইরানি তেল রপ্তানি প্রবাহের উপর নজরদারিকারী আরও দু’টি সূত্র থেকে তথ্য পাওয়া গেছে। এক সূত্র বলছে, তাদের ধারণা মার্চ মাসে প্রতিদিন গড়ে ১.৬৭ মিলিয়ন জ্বালানি তেল ইরান থেকে আমদানি করেছে চীন। অন্য সূত্র মতে, সম্ভবত গড়ে দৈনিক ১.৮ মিলিয়ন ব্যারেল জ্বালানি তেল আমদানি করেছে চীন।
কেপ্লারের তথ্য অনুসারে, মার্চ মাসে চীনের সমুদ্রপথে আমদানি করা অপরিশোধিত তেলের ১৬ শতাংশই ছিল ইরানি তেল। ভার্টেক্সারের একজন জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক লি বলেছেন, ব্যবসায়ীরা অদূর ভবিষ্যতে তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করেছেন। এ কারণেই ইরানি তেল কেনার ক্ষেত্রে চীন তাড়াহুড়ো করছে।
ভার্টেক্সা’র রিপোর্ট অনুসারে, ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে চীনের শানডং প্রদেশে মোট অন-শোর বা স্থল মজুদ ২২ মিলিয়ন ব্যারেল বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ইরান থেকে আমদানি বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
সূত্র : রয়টার্স।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত