পরিচিত প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। দলটির বিপক্ষে অন্যান্য টেস্ট খেলুড়ে দেশের তুলনায় সাফল্য বেশি। এজন্য ক্রিকেটপ্রেমীরা হালকা মেজাজে দেখেন দেশটিকে। টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এমনটি ভাবতে রাজি নন, ‘প্রতিটি আন্তর্জাতিক সিরিজেই চ্যালেঞ্জ থাকে। এখানেও অবশ্যই চ্যালেঞ্জ থাকবে। এর ভিন্ন কোনো চিন্তা থাকবে না। একটা বড় দলের সঙ্গে খেলার সময় যেই চিন্তাভাবনা বা চাপ থাকে, সেই চাপটাই থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- কীভাবে আমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ম্যাচটা শুরু করতে পারি। কোনো দলই ছোট নয়, আমি বারবারই বলছি।’ দুই টেস্ট ম্যাচ সিরিজ খেলতে ১৫ এপ্রিল ঢাকায় আসছে জিম্বাবুয়ে। সিলেটে নাজমুল বাহিনীর ক্যাম্প শুরু হচ্ছে আজ।
নাজমুল শান্ত, মেহেদী মিরাজরা সর্বশেষ টেস্ট খেলেন গত ডিসেম্বরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে দুই টেস্ট ম্যাচ সিরিজটি ড্র হয়েছিল। এরপর গত পাঁচ মাসে আর কোনো টেস্ট খেলেননি নাজমুলরা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বলতে চলতি বছর শুধুু চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলেছেন নাজমুলরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ বছরের প্রথম টেস্ট সিরিজ খেলবে টাইগাররা। আফ্রিকান দেশটির বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিলেটে ২০-২৪ এপ্রিল এবং দ্বিতীয় টেস্ট চট্টগ্রামে ২৮ এপ্রিল থেকে ২ মে। সিলেট টেস্টের জন্য ইতোমধ্যে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। প্রথমবার সুযোগ পেয়েছেন ফাস্ট বোলার তানজিম হাসান সাকিব। পায়ের গোড়ালির জন্য বাদ পড়েছেন তাসকিন আহমেদ। ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন অধিনায়ক নাজমুল ও মুশফিকুর রহিম। জিম্বাবুয়ে সিরিজে নেই উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন দাস। তাকে পিএসএল খেলার অনুমতি দিয়েছে বিসিবি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হচ্ছে আজ। প্রথম টেস্ট সিলেটে। সেজন্য ক্যাম্পও সেখানে হচ্ছে। দলে নতুন ফিল্ডিং কোচ হিসেবে জেমন প্যামেন্টকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। হেড কোচ ফিল সিমন্স। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করবেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিল ২০২১ সালের জুলাইয়ে। হারারের টেস্টটি টাইগাররা জিতেছিল ২২০ রানে। ওই ম্যাচে ১৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পর টেস্টকে বিদায় জানান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ঘরের মাঠে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিল পাঁচ বছর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। মিরপুরের টেস্টটি টাইগাররা জিতেছিল ইনিংস ও ১০৬ রানে। সিলেটে দুই দল এখন পর্যন্ত একটি টেস্ট খেলেছে। ২০১৮ সালের নভেম্বরের ওই টেস্টটি ছিল সিলেটের অভিষেক টেস্ট। টাইগাররা হেরেছিল ১৫১ রানে। দুই দল টেস্ট খেলেছে ১৮টি। সিরিজ খেলেছে ১০টি। উভয়ই দলই চারটি করে সিরিজ জিতেছে। দুটি ড্র হয়েছে। টেস্ট সংখ্যায় বাংলাদেশের ৮ জয়ের বিপরীতে জিম্বাবুয়ের জয় ৭টি।