এশিয়া-প্যাসিফিক জোনের সাময়িকী দ্য ডিপ্লোম্যাট গতকাল এক নিবন্ধে দাবি করেছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নবগঠিত ছাত্র নেতৃত্বাধীন এনসিপির পক্ষে বলে মনে হচ্ছে এবং ভোটারদের মুখোমুখি হওয়ার আগে তিনি এনসিপিকে সংগঠিত করার জন্য সময় দিচ্ছেন। সাময়িকীটিতে লেখা হয়েছে, ৯ এপ্রিল বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ঢাকায় মডেল মেঘনা আলমের বাড়ির দরজা ভেঙে তাঁকে আটক করে। তাঁর গ্রেপ্তারের একটি ফেসবুক লাইভ সম্প্রচারের ফলে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পরে তাঁর আটকের কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয়। এ গ্রেপ্তার দেশটির আইন লঙ্ঘন করেছে।
এক মাস প্রতিরোধমূলক আটকের পর যখন তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়, তখন সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজের সঙ্গে ভিডিও সাক্ষাৎকারে মেঘনা দাবি করেন, ইউনূসের বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী তাঁর গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা করেছিলেন। দুই দিন পর তিনি নিরাপত্তার উদ্বেগের কারণে নেত্র নিউজের সম্পাদক তাসনিম খলিলকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ভিডিওটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। সাময়িকীটির দাবি, ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার কর্তৃক বাকস্বাধীনতার ওপর দমনপীড়নের শিকার শত শত মানুষের মধ্যে মেঘনাও রয়েছেন।
এতে বলা হয়, নবগঠিত ছাত্র নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) নেতা সারজিস আলমের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মন্তব্য করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, মে মাসের শেষ সপ্তাহে একজন মহিলা শিক্ষিকাকে মহিলাদের সমান সম্পত্তির অধিকার সমর্থন করে একটি নিবন্ধ লেখার জন্য বদলি করা হয়েছিল। সাময়িকীটির মতে ইউনূসের সমর্থকরা উদার গণতন্ত্রের মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে ভবিষ্যতে ‘ফ্যাসিবাদের উত্থান রোধ’ করার জন্য বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেওয়ার একমাত্র নেতা হিসেবে তাঁকে তুলে ধরলেও সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো দেখায় যে ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার সম্পূর্ণ বিপরীত কাজ করছে।