অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ, মেহেরপুর জেলা শাখা।
আজ রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে এ স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিষদের মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ইনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রূপালি খাতুন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত এসব বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমাজের পিছিয়ে পড়া ও প্রতিবন্ধী শিশুদের মূল স্রোতধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও পুনর্বাসনে এ বিদ্যালয়গুলোর অবদান অনস্বীকার্য।
প্রতিবন্ধী শিক্ষা ব্যবস্থাকে সরকারি কাঠামোর আওতায় আনতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০০৯ ও ২০১৯ সালে বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় এবং অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। সেই প্রক্রিয়ায় সারাদেশ থেকে মোট ২,৭৪১টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে, যার মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ১,৭৭২টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়, ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত বিদ্যালয়গুলোর পরিদর্শন প্রক্রিয়া অতি ধীরগতিতে চলছে এবং অনেক ক্ষেত্রেই তা স্থগিত রয়েছে। ফলে সারা দেশে প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছেন, পাশাপাশি প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষাও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
পরিষদের পক্ষ থেকে অবিলম্বে চূড়ান্ত তালিকাভুক্ত বিদ্যালয়গুলোর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির নির্দেশনা জারি করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ