কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় ৫৬ কোটি ৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫৪টি প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। জিসিটিজি-২ প্রকল্প, বার্ষিক উন্নয়ন সহায়তা তহবিল (এডিপি) ও রাজস্ব খাতের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে। তার মধ্যে অন্য একটি প্রকল্প হচ্ছে জিসিপি-৩। এ প্রকল্পে দুটি জেটি ঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে।
জেটি ঘাট দুটির কাজ সম্পন্ন হলে কুতুবদিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং পর্যটন শিল্পের উন্নতির আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি কুতুবদিয়ার জনগণের জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করা এবং পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য তৈরি করা সম্ভব হবে। জেটিগুলোর কাজ শেষ হলে পর্যটকদের জন্য কুতুবদিয়ায় আসা সহজ হবে এবং দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা আরও মনোরম হবে।
এছাড়াও, স্থানীয় জনগণের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে। জেটিগুলো কুতুবদিয়ার সাথে অন্যান্য এলাকার যোগাযোগ আরও সহজ করবে। পর্যটন শিল্পের উন্নতির মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে জানান স্থানীয়রা। জেটি নির্মাণ এবং পর্যটন শিল্পের বিকাশে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ১৫৩.২৫০ মিটার আয়তনের ‘ধুরুং জেটিঘাট’ ও ১৫৩.২৫০ মিটার আয়তনের ‘আকবরবলী জেটিঘাট’। ২০২৩ সালে কাজ শুরু করে এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে জেটি ঘাট দুটির কাজ সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।
জেটি ঘাট দুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন উত্তর ধুরুং, লোমশীখালী ও দক্ষিণ ধরুংয়ের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ উপকৃত হবে বলে জানিয়েছেন সতরুদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুরুর আলম আযাদসহ আরও অনেকে। সার্বক্ষণিক তদারকির মাধ্যমে কাজের গুণগত মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ে কাজ আদায় করতে তৎপর বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ আবুছদ্দিন।
কক্সবাজার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, কুতুবদিয়াতে আমাদের দুইটা জেটির কাজ শেষ পর্যায়ে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি কাজের গুণগত মান ঠিক রাখতে। আগামী কয়েক মাসের ভেতর এই কাজ সম্পন্ন হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই