ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই ভোট। বিএনপি ২৩৭ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণার পর দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ গড়ে উঠেছে। প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ করছেন। সারা দেশে জামায়াতের মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও সক্রিয়। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে অন্যান্য দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের গণসংযোগ। সব মিলে নির্বাচনি ঢেউ জেগেছে। গত বছর আগস্টে স্বৈরাচার পতনের পর থেকেই জনগণ প্রত্যাশা করছে সংসদ নির্বাচনের। আগের তিনটি নির্বাচনে তারা ভোট দিতে পারেননি। জুলাই বিপ্লবোত্তর নতুন বাংলাদেশে, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধীর অপেক্ষায় জনগণ। তবে অনেক বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের আবশ্যকতা জরুরি হয়ে উঠেছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত স্বার্থান্বেষী মহল নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে ঘিরে নির্বাচনবিষয়ক নানা রকম মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে খোদ সেনাবাহিনী। শুক্রবার সেনাবাহিনীর ফেসবুক পেজে এসব অপপ্রচার থেকে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিএনপি সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার পর থেকেই দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আনন্দ-বেদনার মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। মনোনীতদের উচ্ছ্বাসের বিপরীতে বঞ্চিতদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অনেক জায়গায় ধ্বংসাত্মক প্রক্রিয়ায় প্রকাশ পাচ্ছে। এমনকি সুশৃঙ্খল বলে পরিচিত জামায়াতও মনোনয়ন নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে পড়েছে। সবকিছু ভাবিয়ে তুলছে বিদগ্ধজনদের। অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় জাতি। আনন্দমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য মুখিয়ে আছে জেন-জির নব্য ভোটারসহ আপামর জনগণ। অন্তর্বর্তী সময় পেরিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের অপেক্ষা সব অংশীজনের। এ প্রেক্ষাপটে নির্বাচন বিলম্বিত বা বানচালের যে কোনো ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া গোটা জাতির কর্তব্য। তার জন্য চাই জাতীয় স্বার্থে অটুট ঐক্য এবং দায়িত্বশীল রাজনৈতিক চেতনা। সবার সমবেত প্রচেষ্টায় ‘ইতিহাস সেরা’ নির্বাচনে জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য, জনগণের সরকার নির্বাচিত হোক। এটাই গণতন্ত্রের সংজ্ঞা ও সৌন্দর্য এবং গণপ্রত্যাশা।