নির্বাচন নিয়ে সংশয় ও শঙ্কার মধ্যে সোমবার রাজনীতিতে বড় কয়েকটি ঘটনা হঠাৎ করে বদলে দিল দৃশ্যপট। অনেক জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এদিন ২৩৭ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। প্রার্থী তালিকার উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনটি আসন থেকে নির্বাচন করছেন। আরেকটি বিশেষ দিক হলো, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রথমবারের মতো নির্বাচনে প্রার্থী হলেন। দীর্ঘ ১৭ বছর প্রবাসে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া ও ঐক্য ধরে রাখার পর তারেক রহমান এবার ভোটের মাঠে লড়বেন। এদিনের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হচ্ছে গণ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল এনসিপি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭-৮টি আসনের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে। তারা শিগগিরই ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণার কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৩০০ আসনে তাদের মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে ভোটের মাঠে প্রচার-প্রচারণায় কাজ করছে গত ১৫ মাস ধরে। গত কয়েক দিনে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির নানা বক্তব্য-মন্তব্যে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন নিয়ে জটিলতার অবসানের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গণভোটের সময় নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা অবসানেরও ইঙ্গিত পাওয়া যায় এদিন। অন্তর্বর্তী সরকার গণভোটসহ সার্বিক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দিতে না পারলে সরকার তার নিজের মতো সিদ্ধান্ত দেবে বলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
নির্বাচন ঘিরে যে ধোঁয়াশা ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছিল তা কেটে গিয়ে ভোটের মাঠ এখন সরগরম হয়ে উঠেছে। রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা নির্বাচন হবে কি হবে না, এমন সংশয় কাটাতে বড় ভূমিকা রেখেছে। এত দিন তালিকা ঘোষণা না করায় প্রায় সব আসনেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগ করছিলেন। নাম ঘোষণা করায় এখন মনোনয়নপ্রাপ্তরা নির্বাচনি প্রচারে জনগণের কাছে বিএনপি ও তার নিজের অবস্থান তুলে ধরে ভোটারদের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করছেন। যা দেশকে নির্বাচনমুখী করতে এগিয়ে নেবে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের লড়াইয়ের আরেক বড় শক্তি জামায়াতে ইসলামী অনেক আগেই ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে জোরেশোরে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনি প্রতীক চেয়ে শাপলার দাবিতে অনড় এনসিপিকে ‘শাপলাকলি’ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এনসিপি শাপলা কলিকে প্রতীক হিসেবে নিতে সম্মত হয়েছে। প্রতীকে সম্মতি জানানোর পর দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের বলেছেন, নির্বাচনে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষের সঙ্গে শাপলাকলির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় অন্তর্বর্তী সরকারের নানা তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ক্যাম্পেইন শুরু করেছে সরকার। রবিবার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ-সংক্রান্ত ৪৮ সেকেন্ডের প্রথম টিজার প্রকাশ করা হয়। টিজারটির ক্যাম্পেইনে বলা হয়েছে, আজ থেকে শুরু হলো জাতীয় নির্বাচন-২০২৬-এর ক্যাম্পেইন। টিজারে ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে অংশ নিতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন গুমের শিকার বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কার্যক্রমের সমন্বয়ক ক্যাপ্টেন (অব.) ড. খান সুবায়েল বিন রফিক। যেখানে তাঁকে বলতে দেখা যায়, বাংলাদেশ আজ ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের সামনে।
কারণ এই নির্বাচনের মাধ্যমে আপনাকে আপনার দেশের দখল বুঝে নিতে হবে। নির্বাচন ২০২৬, দেশের চাবি আপনার হাতে। আপনার ভোটটি আপনি দিয়ে নির্ধারণ করুন কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান।
প্রশাসনও ভোটের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। গণমাধ্যমে ৩ নভেম্বর প্রকাশিত প্রধান শিরোনামের খবরে বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে ঢেলে সাজানো হচ্ছে প্রশাসন। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে মাঠ প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল করা হবে। ডিসি, এডিসি, ইউএনও পদে আসছে ব্যাপক রদবদল। ৩০ জেলার ডিসি ও শতাধিক ইউএনও পরিবর্তন হতে পারে। পুলিশেও চলছে রদবদলের প্রক্রিয়া। এরপরও তফসিল ঘোষণার পর যদি রদবদলের দরকার হয়, সেটি করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের এবার নির্বাচনের দায়িত্বে রাখবে না। তিন বাহিনী প্রধান সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে আসন্ন নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বৈঠকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় রাখা ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট আয়োজনের বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে তিন বাহিনী প্রধানকে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এসব কিছুর মধ্যে বড় চমক ছিল বিএনপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা। এই ঘোষণার মধ্যে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রার্থী হবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনার অবসান হলো। তিনটি আসনে তাঁকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি কার্যক্রম শুরু করল। বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসে খালেদা জিয়া একমাত্র প্রার্থী যিনি প্রতিটি নির্বাচনে (শেখ হাসিনার আমলের বিতর্কিত ও কলঙ্কিত তিনটি নির্বাচন ছাড়া) সর্বোচ্চ সংখ্যক আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। এই রেকর্ড আর কোনো দলের আর কোনো নেতার নেই। বেগম জিয়া ১৯৯১ সালে পাঁচটি আসনে প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে পাঁচটি আসনে প্রার্থী হয়ে সেবারও বিপুল ভোটে জয়ী হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে আবারও পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করে অনেক ভোটের ব্যবধানে জায়ী হন। খালেদা জিয়া একমাত্র প্রার্থী যিনি বিশেষ কোনো অঞ্চল থেকে নয়, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নির্বাচনে লড়াই করে জয়লাভ করেন। নির্বাচনি আসন সংশোধনের পর ২০০৮ সালে এক ব্যক্তির সর্বোচ্চ তিনটি আসনে জয়ী হওয়ার নিয়ম করা হয়। খালেদা জিয়া সেবার তিনটি আসনে নির্বাচন করে জয়ী হন। বেগম জিয়া কোনো নির্বাচনেই হারেননি।
অন্যদিকে শেখ হাসিনা ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ঢাকার দুটি এবং টুঙ্গিপাড়ার নিজ আসন থেকে নির্বাচন করে শুধু টুঙ্গিপাড়ার আসন থেকে জয়ী হন। তিনি ঢাকায় সাদেক হোসেন খোকা ও মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের কাছে হেরে যান। বিএনপির তালিকায় এবার ৮৩ নতুন মুখের আগমন ঘটেছে। এক ডজনের বেশি আসনে ত্যাগী নেতাদের সন্তানরা প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপি জুলাই সনদের সুপারিশ মেনে আসন্ন নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ৫ শতাংশ নারী প্রার্থী দিচ্ছে। খালেদা জিয়াসহ নারী প্রার্থী ১০। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি এবং গণভোটের সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সৃষ্ট জটিলতার কারণে নির্বাচনি ট্রেনের যাত্রা শুরু হলেও তা এখনো পুরোপুরি গতি পায়নি। বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে ত্রিমুখী বিরোধ থামানো না গেলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বৈঠকের পর জানানো হয়, সরকার এ বিষয়ে কোনো মধ্যস্থতা করবে না। আইন উপদেষ্টা প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলোতে নিজ উদ্যোগে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার পথ বের করতে হবে। তারা ব্যর্থ হলে সরকার সনদ ও গণভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবারের মিটিংয়ে প্রায় সব উপদেষ্টা একই দিনে নির্বাচন এবং গণভোট আয়োজনে মত দিলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়া হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা ওই দিনের পর চার দিন বিএনপি, জামায়াত এবং এনসিপির সঙ্গে কথা বললেও সমঝোতা হয়নি। আলোচনার জন্য সাত দিন সময় দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জামায়াতসহ অনেকেই। তবে জামায়াত এর আগেই দেশের চলমান সংকট নিয়ে প্রয়োজনে বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে আলোচনায় বসার জন্য সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় জামায়াতে ইসলামী বলেছে, আলোচনার জন্য রেফারির অভাব হতে পারে। উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া জানায়নি বিএনপি। আর এনসিপির প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, সংস্কার নিয়ে সরকার সাপলুডু খেলছে।
নির্বাচনের প্রাক্কালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ও অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল ও শক্তির মধ্যে বিভাজন দেশের মানুষকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। অথচ শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে দলগুলো এককাট্টা হয়ে গণ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। চব্বিশের ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাইদ পুলিশের গুলির সামনে দাঁড়িয়ে যান। গুলিতে সাইদ লুটিয়ে পড়েন, কিন্তু পিছু হটেননি। একই দিনে চট্টগ্রামে ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম অসীম সাহস নিয়ে মিছিলের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। এদিন সারা দেশে পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ছয় তরুণ প্রাণ হারান। আর অসংখ্য তরুণ-তরুণী গুলিবিদ্ধ হন। উত্তরায় নিহত হন মুগ্ধ। সাইদ, ওয়াসিম, মুগ্ধ, নাফিসের মৃত্যু শেখ হাসিনার নৃশংস স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী জনতার আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, দোকানদার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, গৃহবধূ, রিকশাচালক, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী- সব শ্রেণিপেশার মানুষ স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে সাহসের সঙ্গে লড়াই করেন। ৩৬ দিনের আন্দোলনের পর শেখ হাসিনার পতন ঘটে। স্বাধীনতা যুদ্ধ ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো গণ আন্দোলনে এত বিপুলসংখ্যক শিশু, ছাত্র, যুবকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ হত্যার শিকার হননি। জুলাই অভ্যুত্থানে সাইদ, ওয়াসিম, মুগ্ধ, নাফিসসহ অগণিত মানুষের ফ্যাসিস্টের গুলিতে শহীদ হওয়ার ঘটনা জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাই বলতে হয় ‘মুক্তির আকাশে প্রতিবাদী সূর্য, তুমিই সাইদ তুমিই মুগ্ধ।’
গণ অভ্যুত্থানের পর প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল ও শক্তি গণ অভ্যুত্থানের পর দীর্ঘদিন ঐক্য ধরে রেখেছিল। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেই ঐক্যে ফাটল ধরেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরাজ করছে তীব্র বিভাজন। এর সুযোগ নিচ্ছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ পতিত স্বৈরাচারের দল এবং তাদের সহযোগী সংগঠন। তারা দেশের ভিতরে বাইরে নানামুখী অপতৎপরতা চালাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা স্বয়ং সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হবে, হঠাৎ আক্রমণ আসতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রফেসর ইউনূসের সতর্ক বার্তার গুরুত্ব না দিয়ে বিভাজন জিইয়ে রাখলে নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। ফ্যাসিবাদী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশ হারাবে গণতন্ত্র উত্তরণের সুযোগ। দেশ হুমকির মুখে পড়বে। বৃথা হয়ে যাবে সাইদ, ওয়াসিম, মুগ্ধসহ শত শত শহীদের রক্তদান।
লেখক : চেয়ারম্যান, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি
ইমেইল : [email protected]