রাজনীতি হলো রাজার নীতি। রাজতন্ত্রের যুগে এটিই ছিল নিয়ম। প্রজাতন্ত্রের যুগে প্রজারাই দেশের মালিক মোক্তার। এমনকি এ আধুনিক যুগে যেসব দেশে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র রয়েছে, সেখানেও রাজাকে চলতে হয় প্রজাদের কথায়। প্রজাদের দ্বারা নির্বাচিত পার্লামেন্ট নির্ধারণ করে দেয় রাজা বা রানি কত বেতন-ভাতা পাবেন। কী করবেন আর কী করবেন না। রাজতন্ত্রে কে রাজা হবেন তা নির্ধারণে প্রজাদের কোনো ভূমিকা নেই। রাজার পুত্র বা কন্যা রাজা বা রানি হবেন এটিই সুনির্ধারিত নিয়ম।
কিন্তু প্রজাতন্ত্র বা গণতন্ত্রের যুগে বস্তির ছেলেও জনসমর্থনের জোরে রাষ্ট্রপতি হওয়ার নজির রয়েছে। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট প্রেমদাসা ছিলেন বস্তির ছেলে। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ডি সিলভা লুলা ছিলেন হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। পঞ্চম শ্রেণির বেশি লেখাপড়া করতে পারেননি অর্থাভাবে। সেই লুলা প্রেসিডেন্ট হয়ে দেনার দায়ে দেউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়ানো ব্রাজিলকে প্রায় আকাশে উঠিয়েছেন। তাঁর সুশাসনে ব্রাজিল পৃথিবীর অন্যতম বড় অর্থনীতির দেশ হিসেবে স্বীকৃত। রাস্তার ঝাড়ুদার হিসেবে তিনি কাজ করেছেন, তিনি জাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন জনসমর্থনের গুণে। নামিবিয়ার রাষ্ট্রপতি শ্যাম নাজোমো ছিলেন পেশায় নাপিত।
বাংলাদেশের রাজনীতির প্রবাদপুরুষ মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার কণ্ঠস্বর হিসেবে ভাবা হতো এ নেতাকে। ভাসানীর জন্ম নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে। বিয়ে করেন জমিদারকন্যাকে। যিনি ছিলেন তাঁর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। অথচ এ মানুষটি আমৃত্যু গ্রামের অতিসাধারণ কৃষক কিংবা শহরের বস্তিবাসীর মতো জীবনযাপন করেছেন। শ্বশুরবাড়ির সূত্রে যে সম্পদ অর্জন করেছেন, তার সবই দান করে দিয়েছেন গরিবদের মধ্যে।
মওলানা ভাসানী ভারতের দেওবন্দ মাদরাসায় দুই বছর পড়াশোনা করলেও কোনো সনদ অর্জন করেননি। কৃষক শ্রমিক ও গরিব মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন সারা জীবন। ভারতের আসামের বাঙালিদের অবস্থা যখন বিপন্ন তখন ছুটে গিয়েছেন তাদের পাশে। ভাসানচরে কৃষকদের সংগঠিত করেছেন। তাদের নেতৃত্ব দিয়ে বন্যার কবল থেকে বাঁচাতে বাঁধ তৈরি করেছেন। স্থাপন করেছেন মাদরাসা ও বিদ্যালয়। বাঙালিদের প্রতি আসাম সরকারের বৈষম্যের অবসান ঘটিয়েছেন। ভাসানচরের মানুষের কাছে তিনি ছিলেন পীর। ভাসানচরের মওলানা হিসেবেও তাঁর পরিচিতি গড়ে ওঠে। পৈতৃক নাম আবদুল হামিদ খানের সঙ্গে যুক্ত হয় ভাসানী শব্দটি।
মওলানা ভাসানী কংগ্রেস থেকে যোগ দেন মুসলিম লীগে। আসাম মুসলিম লীগের সভাপতি ও বিধানসভার সদস্যও নির্বাচিত হন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলে আসাম থেকে মওলানা ভাসানীকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি চলে আসেন পূর্ব পাকিস্তানে। মুসলিম লীগের বড় মাপের নেতা হওয়া সত্ত্বেও কায়েমি স্বার্থবাদীরা তাকে দলের বাইরে রাখে নিজেদের নেতৃত্ব হারানোর ভয়ে। মওলানা ভাসানী টাঙ্গাইলের মুসলিম লীগ নেতা ও জমিদার পন্নীর বিরুদ্ধে জয়ী হন প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সেই নির্বাচন বাতিল করে তাঁর জয় কেড়ে নেওয়া হয়। ১৯৪৯ সালে মওলানার নেতৃত্বে গড়ে ওঠে আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরবর্তী সময়ে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন তিনি।
ওই নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের কাছে মুসলিম লীগের ভরাডুবি ঘটে। প্রাদেশিক পরিষদে যুক্তফ্রন্ট যেখানে পায় ২২৮টি, মুসলিম লীগ পায় মাত্র ৯টি আসন। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে প্রাদেশিক সরকার গঠিত হয়। এ সময় মওলানা ভাসানী বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে সুইডেন সফর করেন। ওই সময় ইউরোপের কয়েকটি দেশ ভ্রমণের সুযোগও হয় মওলানার। খন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস তাঁর ‘ভাসানী যখন ইউরোপে’ বইতে সে সফরের যে চিত্র তুলে ধরেছেন তা সত্যিকার অর্থেই অনন্য। এতে বলা হয়, লাগেজ বলতে মওলানা ভাসানীর আজীবনের সাথি একটি মাত্র স্যুটকেস। দৈর্ঘ্য ষোলো ইঞ্চি। সম্পদ বলতে তাঁর মধ্যে থাকে একটি গামছা, একটি লুঙ্গি, একটি খদ্দরের পাঞ্জাবি, মাথার একটা টুপি, কিছু তামাকপাতা ও চুনের একটি ডিব্বা। এসব নিয়েই পূর্ব বাংলার শহরে-গ্রামে সফর করেন এবং এসব নিয়েই তিনি গেছেন ইউরোপ সফরে। চিরসাথি স্যুটকেসটিতে তালা নেই। সেই বস্তু বিদায় নিয়েছে বহু দিন আগেই। ফলে চির উন্মুক্ত স্যুটকেসটি দড়ি বা শাড়ির পাড় দিয়ে বেঁধে নিয়ে এখানে-সেখানে যেতে হয়।
ঢাকা থেকে যে দড়ি দিয়ে তাঁর একমাত্র লাগেজ বেঁধে আনা হয়েছিল লন্ডনে, একদিন সেটা হারিয়ে গেল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দেখা গেল সেটা ডাস্টবিনে শোভা পাচ্ছে। বাসার ঝাডুদার রাবিশ মনে করে সেটা ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছিলেন।
একদিন তাঁর ইউরোপ সফরসঙ্গীরা বলল, ‘হুজুর, এটা ফেলে দিয়ে একটা নতুন স্যুটকেস কিনে নেন না কেন?’ উত্তরে তিনি বললেন, ‘জীবনের বহুদিনের সঙ্গী আমার এ স্যুটকেসটি। বিদেশ-বিভুঁইয়ে ওকে না ফেলে দিয়ে দেশে গিয়েই না হয় বদলানো যাবে।’
লন্ডন থেকে স্টকহোমে যাওয়ার পথেও ছেঁড়া লুঙ্গির একাংশ দিয়ে বেঁধে স্যুটকেসটি নিয়ে যাওয়া হলো। স্টকহোম থেকে পুনরায় লন্ডনে ফেরার পথেও সেই ছেঁড়া লুঙ্গির বাঁধন। কিন্তু লন্ডন এয়ারপোর্টে এসে রহস্যজনকভাবে স্যুটকেসটি হারিয়ে যায়। স্যুটকেসটি হারানোর ফলে সফরসঙ্গীরা খুব খুশি হন। সিদ্ধান্ত হলো, একটা নতুন স্যুটকেস ক্রয় করা হবে।
যেদিন স্যুটকেস কেনার জন্য বাসা থেকে বের হচ্ছিলেন ঠিক তখনই মওলানার সঙ্গে কয়েকবার জেলখাটা সেই স্যুটকেসটি নিয়ে হাজির ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের লোক।
বললেন, ‘মনে কিছু করবেন না স্যার, স্যুটকেসটি ভুলক্রমে ব্রাসেলসে চলে গিয়েছিল। আমরা দুঃখিত।’ মওলানার তখনো বেলজিয়াম দেখার সুযোগ হয়নি অথচ তাঁর জেলখাটা স্যুটকেসটি সে দেশটা এক চক্কর ঘুরে এসেছে। পুরোনো সাথি পেয়ে হুজুরের আনন্দ আর ধরে না। তিনি আরও খুশি হলেন দেখে যে বিমান কোম্পানি তাঁর ভাঙা স্যুটকেসটি মেরামত করে তাতে একটা তালা লাগিয়ে এক জোড়া চাবি ঝুলিয়ে দিয়েছে।
আমাদের দেশের রাজনীতিতে পচন ধরেছে। এ নিয়ে দ্বিমত পোষণের কোনো সুযোগ নেই। শুধু মওলানা ভাসানী নয়, এ দেশে ছিলেন হাজী দানেশের মতো ত্যাগী রাজনীতিক। অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ যাঁরা, তাঁরাও তাঁর সততা নিয়ে কখনো প্রশ্ন করেননি। আওয়ামী লীগের পৌনে ১৬ বছরের শাসনামলে অনেক মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অসততার অভিযোগ উঠলেও মতিয়া চৌধুরী ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ব্যক্তিগত সততা নিয়ে কেউ কখনো প্রশ্ন তোলেননি। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে ৮ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সিপিবি নেতা মোহাম্মদ ইউসুফ। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সংসদ নির্বাচনে তিনি নিজের পকেট থেকে কোনো অর্থ ব্যয় করেননি। ব্যয় করার সামর্থ্যও তাঁর ছিল না। এলাকাবাসী চাঁদা দিয়ে তাঁকে সংসদে পাঠান রাঙ্গুনিয়ার পক্ষে কথা বলার জন্য। মৃত্যুকালে ধনসম্পদ দূরের কথা চিকিৎসা খরচ জোগানোরও অর্থ ছিল না। মোহাম্মদ ইউসুফের ভাই ছিলেন চায়ের দোকানদার। ভাইয়ের সংসারে দুই বেলা খাবার জুটলেও নিজের চিকিৎসার খরচ জোগানোর উপায় ছিল না। পাকিস্তান আমলে পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আবু হোসেন সরকার। তাঁকেও বিনা চিকিৎসায় মরতে হয়েছে অসহায়ভাবে। একসময় রাজনীতিতে এমন নেতার অভাব না থাকলেও এখন টাউট-বাটপার আর লোভীরাই রাজনীতির নিয়ন্ত্রক। শুধু বাংলাদেশ নয়, একসময় আমাদের উপমহাদেশের রাজনীতিতে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের প্রায় সবাই ছিলেন ত্যাগী। মহাত্মা গান্ধী ছিলেন ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান। কিন্তু তিনি গ্রামের একজন সাধারণ গরিব কৃষকের মতোই জীবনযাপন করতেন। পাকিস্তানের পাখতুন খোয়ার আবদুল গফফার খান ট্রেনে চলাচলের জন্য তৃতীয় শ্রেণির টিকিট কিনতেন। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের চারবারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সিপিএম নেতা মানিক সরকার। ২০ বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০১৮ সালে তিনি যখন মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়েন তখন ঘর ভাড়া করে থাকার সামর্থ্যও ছিল না এ ত্যাগী নেতার। তিনি পার্টি অফিসে ওঠেন বসবাসের জন্য।
আর ভারতের দুইবারের প্রধানমন্ত্রী গুলজারিলাল নন্দ বাসা ভাড়া দিতে না পারায় বাড়িওয়ালা তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন বাসা থেকে। ৯৪ বছরের বৃদ্ধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী এজন্য সংবাদ শিরোনামে পরিণত হন। গুলজারিলাল নন্দ দুবার ভারতের অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রীও ছিলেন বহুদিন ধরে। অবসর জীবনে সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে মাসে ৫০০ টাকা ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। বলেন, দেশের জন্য যে আত্মত্যাগ করেছি, তা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করতে পারব না। সরকারি আবাসনসহ বিভিন্ন সুযোগসুবিধার প্রস্তাবও ফিরিয়ে দেন। বলেন, কদিন আর বাঁচব। এভাবেই জীবনটা কেটে যাক না। এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। তারপর মুম্বাইয়ের সেন্ট্রাল কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপক হন। দেশের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে বারবার কারাবরণ করেন।
আয়ের আর কোনো উৎস না থাকায় বন্ধুদের অনুরোধে কিছুটা বাধ্য হয়েই তিনি সরকারি ভাতা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেটাও সময়মতো হাতে পেতেন না। দুই মাস ভাতা না আসায় বাকি রয়ে যায় বাড়িভাড়া। কদিন ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া হয়নি, টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যায় ওষুধ খাওয়া। সম্বল ছিল কেবল একটা ছেঁড়া মাদুর, পুরোনো চাদর, অ্যালুমিনিয়ামের একটা বাসন, একটা পেয়ালা, প্লাস্টিকের একটা বালতি আর একটা মগ। বাড়িওয়ালা ঘর থেকে বের করে দিলে কাকুতিমিনতি করে কয়েক দিন সময় চান গুলজারিলাল নন্দ। প্রতিবেশীদের অনুরোধে কিছুটা নরম হলেন বাড়িওয়ালা। সময় দেওয়া হলো আরও পনেরো দিন। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হইচই দেখে এক নবীন সাংবাদিক বিষয়টি লক্ষ করেন। জুতসই খবর হবে ভেবে বৃদ্ধের ও বাড়ির ছবি তুলে নিলেন সাংবাদিক। মনে মনে ভাবেন তাঁর প্রতিবেদনের শিরোনাম হবে, ‘টাকার জন্য এক অসহায় বৃদ্ধকে বাড়ি থেকে বের করে দিলেন পাষাণ হৃদয়ের এক বাড়িওয়ালা।’
পত্রিকা অফিসে গিয়ে সাংবাদিক সম্পাদককে ঘটনাটি জানান। ছবিগুলো দেখে সম্পাদক তো হতবাক।
পরদিন সকালে খবরের কাগজে ছবিসহ প্রকাশিত হলো, ‘অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করে চলেছেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।’
গুলজারিলাল নন্দের দুরবস্থার খবর পৌঁছে যায় সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসীমা রাওয়ের কাছে। মন্ত্রী-আমলাসহ তিনি হাজির হন বৃদ্ধ নেতার আস্তানায়। বাড়িওয়ালা বুঝতে পারলেন না, ঘটনাটা কী। পরে শুনলেন, তাঁর ভাড়াটে যে সে কেউ নন, ভারতের একজন স্বাধীনতাসংগ্রামী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গে তিনি গুলজারিলাল নন্দের কাছে ক্ষমা চান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি ক্ষমা চাচ্ছেন কেন, আপনার তো কোনো দোষ নেই। আমি ভাড়া দিতে পারিনি, সেটি তো আমার অপরাধ।’
ভারতের রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম কখনো প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে জড়িত হননি। দেশের জন্য অসামান্য অবদানের পুরস্কার হিসেবে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হন তিনি। ভারতের এ সাবেক রাষ্ট্রপতি যখন মারা যান তখন তাঁর রেখে যাওয়া সম্পত্তি ছিল আড়াই হাজার বই, চারটি শার্ট, ছয়টি প্যান্ট, তিনটি স্যুট, ছেচল্লিশটি ডক্টরেট এবং পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ ও ভারতরত্ন পুরস্কার।
লেখক : সিনিয়র সহকারী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
ইমেইল :[email protected]