‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’র লক্ষ্যে আজ বিকেলে খুলনার ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির তারুণ্যের মহাসমাবেশ।
শনিবার (১৭ মে) বিকেল ৪টায় শুরু হবে এই মহাসমাবেশ। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় দেশের তরুণদের শক্তিকে কাজে লাগাতে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সমন্বয়ে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
এ সমাবেশ ঘিরে খুলনাজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিলাল হোসেন তারেকসহ স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
শনিবার সকালে খুলনা জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম মাছুম বিল্লাহ বলেন, বিএনপির তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে খুলনায় তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে তরুণদের ঢল নামবে। ইতোমধ্যে খুলনার নয় উপজেলা ও দুই পৌরসভা থেকে তৃণমূলের তরুণরা খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
খুলনা মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ সুমন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিশ্বাস করেন, তরুণরাই দলের চালিকা শক্তি। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে তরুণদের সম্পৃক্ততার বিকল্প নেই। তাই তিনি তরুণদের নিয়ে এই আয়োজন করেছেন। বিএনপি তারুণ্যনির্ভর দল হিসেবে সবসময় তরুণদের মূল্যায়ন করেছে। এই আয়োজন তারই বহিঃপ্রকাশ। আমরা আশা করছি, খুলনার সমাবেশে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের সমাগত ঘটবে।
খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম শামীম কবির বলেন, খুলনাবাসী ও বরিশালবাসীর সমন্বয়ে খুলনার ইতিহাসের সর্ববৃহৎ এক তারুণ্যের সমাবেশ হবে আজকের সমাবেশ। তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এক যুগান্তকারী উদ্যোগ। এটি কেবল একটি রাজনৈতিক উদ্যোগ নয়, বরং একটি উন্নয়ন ও উৎপাদনমুখী তথা জনবান্ধব সরকার ব্যবস্থার প্রয়াস। যেখানে তরুণরা কেবল শুধু ভোটার নয়, বরং আগামীর নীতিনির্ধারক, চিন্তাশীল অংশীদার ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামোর নির্মাতাও তারা।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম