গত বছর আগস্টে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করে নেপাল। মিরাজুল, রাহুল, নোভারা নতুন বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছিলেন সেই টুর্নামেন্টের শিরোপা। ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। বছর না ঘুরতেই ফের সাফের সেরা হওয়ার লড়াইয়ে নিজেদেরকে ফাইনালে তুলল বাংলাদেশের যুব ফুটবলাররা। এবার ভারতের অরুণাচলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ। এ টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। গতকাল নেপালের মুখোমুখি হয় ফাইনালে ওঠার লক্ষ্য নিয়ে। গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে দারুণ লড়াই হয় দুই দলের। উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই শেষে বাংলাদেশ জয় পেল ২-১ ব্যবধানে। আরেক সেমি ফাইনালে মালদ্বীপকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ভারত। আগামীকাল একই বেন্যুতে শিরোপার জন্য লড়বে ভারত ও বাংলাদেশ। সাফের বয়সভিত্তিক দলগুলোর লড়াইয়ে গত কয়েক বছর ধরেই ভালো করছে বাংলাদেশ। মেয়েরা একসময় ছিল অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এখন মেয়েরা সিনিয়র সাফেও সাফল্য বয়ে আনছে। ছেলেদের বয়সভিত্তিক দলগুলোর লড়াইয়ে বাংলাদেশ গতবার চ্যাম্পিয়ন হয়। এর আগে ২০২২ সালে অনূর্ধ্ব-২০ সাফে রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ। ২০১৭ ও ২০১৯ সালে অনূর্ধ্ব-১৮ সাফেও রানার্সআপ হয়। আরও একবার বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় ফাইনাল নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। গতকাল ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দল ছিল গোলের খোঁজে। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটা গোলের সুযোগ তৈরি করলেও কোনো দলই জালের দেখা পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন আশিকুর রহমান। ৭৩ মিনিটে অধিনায়ক নাজমুল হুদার কর্নার কিক থেকে বল পেয়ে হেডে বল জালে জড়ান তিনি। ৮১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। এবার গোল করেন অধিনায়ক নাজমুল। ডি বক্সের ভিতরে তাকে বল বাড়িয়ে দেন মানিক। ৮৭ মিনিটে সুজন দঙ্গলের গোলে ব্যবধান কমায় নেপাল। তবে বাংলাদেশের জয় রুখতে পারেননি তিনি।
কাল একই স্টেডিয়ামে ফাইনালে শিরোপার জন্য লড়াই করবে বাংলাদেশের যুবারা। এবারের আসরে প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের সঙ্গে ড্র দ্বিতীয় ম্যাচে ভুটান ৩-০ গোলে হারিয়ে সেমিতে ওঠে বাংলাদেশ।