গেল দুই সপ্তাহ ধরে সবজির বাজার গরম থাকলেও ধীরে ধীরে দাম কমতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহেও কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকার নিচে যেখানে সবজি পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল, এ সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যেই মিলছে বেশির ভাগ সবজি। চালের দামও কিছুটা কমেছে। তবে গরুর মাংসের দাম সামান্য বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম আগের মতো থাকলেও ডিমের দাম ডজনে বেড়েছে ১০ টাকা। গতকাল রাজধানী ঢাকার মালিবাগ বাজার ও মগবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, অতিবৃষ্টি না হওয়ায় গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। বেশির ভাগ সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে। ক্রেতারাও বলছেন, আগে যেসব সবজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় কিনতেন, এখন সেগুলোর দাম প্রায় হাতের নাগালে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, করলা, পটোল, বেগুন, ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, শসা, কাঁকরোলের মতো গ্রীষ্মকালীন সবজি মিলছে কেজিপ্রতি ৪৫ থেকে ৬০ টাকায়; গত সপ্তাহে এসব সবজির দাম ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। তবে পেঁপে, গাজর, বরবটির মতো কিছু সবজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। মালিবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা আবদুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এ সপ্তাহে সবজি সরবরাহ বেড়েছে। তাই বেশ কয়েকটি সবজির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। সামনে সরবরাহ বাড়লে দাম হয়তো আরও কিছু কমতে পারে। এদিকে চালের বাজারও রয়েছে স্থিতিশীল। মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৭৮ টাকায়, নতুন মিনিকেট পাওয়া যাচ্ছে ৭০ থেকে ৭২ টাকায়। নাজিরশাইল ৯০, আঠাশ ৫৮ থেকে ৬২ এবং স্বর্ণা ৫৬ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, চালের দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে ডিম-মাংসের বাজারে উল্টোচিত্র। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের ডজনপ্রতি দাম বেড়েছে ১০ টাকা। বড় বাজারগুলোতে এখন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৪০ টাকায় আর পাড়ামহল্লায় ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির দাম আগের মতোই আছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হতে গেছে। তবে সোনালি, লেয়ার ও দেশি মুরগির বাজার চড়া। সোনালি ২৭০ থেকে ২৮০, লাল লেয়ার ৩৩০ ও দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকায় কেজি ধরে বেক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; গত সপ্তাহে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আর খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকায়। আলু, আদা, রসুন ও মাছের বাজারে বড় ধরনের পরিবর্তন নেই। আলু ২০ থেকে ২৫, আদা ১২০, দেশি রসুন ১০০ থেকে ১২০ ও আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৫০ থেকে ৪০০, কাতলা ৩৮০ থেকে ৪০০, চাষের শিং ৫০০ থেকে ৫৫০, চাষের কই ২৫০, কোরাল ৭৫০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ ও তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায় কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শিরোনাম
- পাবনায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩
- চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২
- আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি
- দৈনিক কোটি টাকার চাঁদাবাজি
- আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি বেড়েছে ২১০০ কোটি টাকা
- এবার নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
- পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
- বাবার হাত ছেড়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়িচাপায় সন্তানের মৃত্যু
- বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এসিড নিক্ষেপ, দুই নারী ও শিশু দগ্ধ
- এনএসডিএ'র নির্বাহী চেয়ারম্যান হলেন রেহানা পারভীন
- নারী পাচারে টোপ ‘ভালো চাকরি’
- মুগদায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনি, হাসপাতালে তরুণের মৃত্যু
- মাতুয়াইলে ১০ তলার ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
- জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা মব নয় : মাহফুজ আলম
- জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে সমুদ্রে ‘অদ্ভুত গর্জন’ শোনার দাবি
- ফ্যাসিস্টদের পুশইন করুন, বিচার করতে প্রস্তুত আমরা : নাহিদ
- শাকিবের আগামী ঈদের সিনেমা চূড়ান্ত
- এবার ‘ট্রাম্প সুগন্ধি’ বাজারে, বিতর্ক
- মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৮ ডাকাত গ্রেফতার
- পারমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত ইরানের
সবজিতে স্বস্তি, গরুর মাংসের দাম চড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর