রাজধানীর গুলিস্তানে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ব্যানার ঝুলিয়ে দখল করার ঘোষণা দিয়েছে ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামক একটি সংগঠন। তবে কে বা কারা এই সংগঠনের নেতা-কর্মী তা জানা যায়নি। গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, কার্যালয়ের সামনে দুটি ব্যানার টাঙানো। একটি ব্যানারের দুই পাশে আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধর ছবি, মাঝখানে লেখা ‘জুলাই যোদ্ধাদের প্রধান কার্যালয়’। ব্যানারের নিচের দিকে ঠিকানার জায়গায় লেখা- ‘২৩, শহীদ আবরার ফাহাদ এভিনিউ, মতিঝিল, ঢাকা’। অপর ব্যানারে ঠিকানার স্থলে লেখা রয়েছে- ‘২৩, আব্রাম ফরহাদ এভিনিউ’।
জুলাই গণ অভ্যুত্থানে সম্পৃক্ত ৮০টি সংগঠনের জোট ‘জুলাই ঐক্য’-এর অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে জুলাই যোদ্ধা ব্যানারে কোনো সংগঠন কিংবা প্ল্যাটফর্ম নেই। এই নামে কোনো সংগঠনের তৎপরতাও আমরা সেভাবে শুনিনি।’
এর আগে ১৪ মে এক ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যানার দুটি টাঙিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় দখল নিচ্ছেন কতিপয় ব্যক্তি।
জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে এনসিপির যুবশক্তির নেতাদের হট্টগোল
গুলিস্তানে এনসিপির যুব উইং ‘জাতীয় যুবশক্তি’র আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শেষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল করার সময় জুলাইয়ের গণ আন্দোলনে আহত যোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পড়েছেন যুবশক্তির নতুন কমিটির আহ্বায়ক তরিকুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। কমিটি ঘোষণার পর মঞ্চ থেকে নেতারা মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গেলে সেখানে উপস্থিত অন্তত অর্ধশত আহত ‘জুলাই যোদ্ধা’ নেতাদের উদ্দেশে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। শুরু হয় তুমুল হট্টগোল।
আহতরা জানান, এনসিপির পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে তাঁরা বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে এসেছেন। অনেকেই স্ক্র্যাচ ব্যবহার করে বা কোমরে বেল্ট বেঁধে এসেছেন, কারও শরীরে এখনো সেলাই রয়েছে। কিন্তু অনুষ্ঠানে তাঁদের বসার জায়গা রাখা হয়নি, এমনকি প্রাপ্য সম্মানও দেওয়া হয়নি। যুবনেতারা তাঁদের থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এ সময় মঞ্চে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা আখতার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় শীর্ষ নেতারা ভিন্ন পথে মঞ্চ ত্যাগ করেন।
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধাদের জন্য মঞ্চের সামনে জায়গা রাখা হয়েছিল। অনেকে সেখানে বসেছিলেন। যাঁরা পরে অভিযোগ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে আমাদের অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্পর্ক নেই। আমরা সব সময় আহতদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব।’