চট্টগ্রামে প্রতি বছর পশু কোরবানি দাতার সংখ্যা বাড়ছে। গত এক দশকে কোরবানির পশুর চাহিদা বেড়েছে ৭৯ শতাংশ। ১০ বছর আগে জেলাজুড়ে ৫ লাখ পশু কোরবানি হতো, এবারের ঈদুল আজহায় কোরবানির চাহিদা ধরা হয়েছে প্রায় ৯ লাখ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চট্টগ্রাম অঞ্চলে পশু পালনের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় পশুর জোগান দিয়ে চাহিদা পূরণ সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে ২০১১ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার পশু কোরবানি দেওয়া হয়। পরের তিন বছর যথাক্রমে ৪ লাখ ৫৬ হাজার, ৪ লাখ ৬০ হাজার, ৪ লাখ ৮৭ হাজার পশু কোরবানি হয়। আর ২০১৫ সালে কোরবানি হয় ৫ লাখ পশু। পরের বছরগুলোতেও বাড়তে থাকে কোরবানির হার। ২০২৪ সালে জেলা ও মহানগরে ৮ লাখ ১৮ হাজার পশু কোরবানি হয়। চলতি বছর চট্টগ্রামে ৮ লাখ ৯৬ হাজারের বেশি পশু কোরবানি হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর বলেন, চাহিদা বাড়লেও পশুর সংকট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। পশু পালনের হার বেড়েছে। এবার ৮ লাখ ৬০ হাজারের বেশি পশু স্থানীয় খামারিদের কাছে মজুত আছে। ফলে ঘাটতি মাত্র ৩৫ হাজার ৩৭৮টি। এ ঘাটতি আশপাশের জেলাগুলো থেকেই পূরণ হয়ে যাবে। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকেও বাজারে পশু আসবে। খামারিরা বলছেন, এবার পশুখাদ্য, ওষুধসহ অন্যান্য সামগ্রীর দাম বাড়তি। তাই বেশি দামে পশু বিক্রি করতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে। মিরসরাইয়ের ওয়াহেদপুর এলাকার খামারি হুসাইন বিন আজাদ বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি। তাই দাম কিছুটা বাড়তি হতে পারে। যদি উত্তরাঞ্চল থেকে অতিরিক্ত পশু আসে, স্থানীয় খামারিরা লোকসানে পড়বেন। তবে প্রাণিসম্পদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, খাদ্য ও ওষুধের দাম কিছু সময় বাড়তি ছিল। তবে সেটা পুষিয়ে নিতে খামারিদের খুব বেশি উচ্চমূল্য নিতে হবে না।