চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসনে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু আট বছর পার হলেও সড়কটি নির্মাণ শেষ হয়নি। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি শহররক্ষা বাঁধ ও বিনোদন কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করবে। সিডিএ সূত্রে জানা যায়, ২ হাজার ৭৭৯ কোটি ৩৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকার প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। তবে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের অক্টোবরে। দুই দফা প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধি করে চলতি মাসের জুনে কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু সাড়ে ৮ কিমি দৈর্ঘ্যরে সড়কটির ৮৩ শতাংশ কাজ শেষ, আর্থিক অগ্রগতি ৮২ শতাংশ। সাড়ে ৮ কিমি দৈর্ঘ্যরে রাস্তা ও বাঁধের মধ্যে ৭ কিমির নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাকি দেড় কিমি সড়কের ভূমি ক্রয় প্রক্রিয়া চলমান। এরই মধ্যে চলছে সড়কের কার্পেটিং।
সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক রাজিব দাশ বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতাসহ নানা কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হয়। তা ছাড়া সময়ের প্রয়োজন ও বাস্তবতার নিরিখে প্রকল্পে বারবার পরিবর্তন আনতে হয়েছে। তাই প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্ব হচ্ছে। বাকি সময়েও অবশিষ্ট কাজ শেষ করা যাবে না। তাই সময় বাড়াতে হচ্ছে। তবে ব্যয় বাড়বে না। তিনি বলেন, একটি প্রকল্পের বহুমাত্রিক সুফল মিলবে। জলাবদ্ধতা নিরসন, কর্ণফুলী নদীর আশপাশের এলাকায় আবাসন গড়ে ওঠা, বাণিজ্য ও পর্যটনশিল্পের বিস্তৃতি, বিনোদন স্পট হওয়া এবং কম সময়ে কালুরঘাট থেকে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করা যাবে। পরিবর্তন আসবে বাকলিয়া, চান্দগাঁও ও মোহরা এলাকায়।