ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় পুকুরে গোসল করা নিয়ে বিরোধের জেরে রাতে টর্চ লাইটের আলোয় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার ছোট দেওয়ানপাড়া ও হালুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে হালুয়াপাড়া এলাকার মো. তায়িম তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে ছোট দেওয়ানপাড়ার অন্নদা স্কুলের পুকুরে গোসল করতে যান। এ সময় একই পুকুরে গোসল করতে আসা ছোট দেওয়ানপাড়ার শাকিল ও শিপনের সঙ্গে পানির ছিটা পড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শাকিল ও শিপন মিলে তায়িম ও তার বন্ধুদের মারধর করেন।
এর জেরে রাত সাড়ে ৭টার দিকে দুই এলাকার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র—টেঁটা, বল্লম, রামদা ইত্যাদি নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। রাতের আঁধারে টর্চ লাইটের আলো জ্বালিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালানো হয়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এতে স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং দোকানপাট ও সড়ক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইনের নেতৃত্বে পুলিশ, আনসার ও পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ইউএনও মোশারফ হোসাইন বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে ১৫ জন দাঙ্গাবাজকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক