নারীরাই বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার প্রধান শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক বেগম সেলিমা রহমান। তিনি বলেন, নারী অধিকার ও ক্ষমতায়নে বিএনপিই পথপ্রদর্শক। অতীতেও নারীর ভোটেই বিএনপি পাঁচবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে। ইনশাল্লাহ, আগামী দিনে নারীরাই বিএনপির সঙ্গে থেকে জনগণের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করে দলকে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় আনবে।
শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের জুলাই বিপ্লব হলে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ‘সমাজে নারী ও শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা বিএনপির নির্বাচনী অগ্রাধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেলিমা রহমান বলেন, দেশকে ঘিরে নানা ষড়যন্ত্র চলছে, আর সেই ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে পুরো বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পুরোপুরি ফিরে পায়নি। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আগামী নির্বাচনে বিএনপির জয় নিশ্চিত করতে হবে।
নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষার অভাব ও যৌতুকের কারণে নারীরা আজও নিপীড়িত। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই যৌতুকবিরোধী আইন প্রণয়ন করেছিলেন, যা নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় মাইলফলক। জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে নারীরা রাজনীতি ও সমাজে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে।
তিনি অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন পেছাতে এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে নানা ষড়যন্ত্র করছে। ধর্মকে ব্যবহার করে প্রান্তিক জনগণের সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগানো হচ্ছে। সহজ সরল মানুষের এই বিভ্রান্তি কাটাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের সচেতন ভূমিকা নিতে হবে বলেও তিনি আহ্বান জানান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আজকে দেশে তারেক রহমান ও গণতন্ত্র নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। একটি মহল নির্বাচন বানচাল করার চক্রান্ত করছে। তাই মহিলা জনপ্রতিনিধিদের উঠান বৈঠক করে এসব চক্রান্তের জবাব দিতে হবে।
নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় অতিথি ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশীদ হারুন।
জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগরীর সাবেক কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, জেসমিনা খানম, পটিয়ার আফরোজা বেগম জলি, বোয়ালখালীর শাহিদা আকতার শেপু, সীতাকুণ্ডের নাজমুন নাহার চৌধুরী, বিজিয়া মেম্বার, হাটহাজারীর নুরী মাহফুজা ইউছুপ, লায়লা ইয়াসমিন, টেকনাফের তাহেরা আকতার মিলি, খাগড়াছড়ির তাকলিমা সুলতানা, কাজুরী ত্রিপুরা, শিউলি বেগম, রাঙ্গামাটির বর্ণা চাকমা, বিলকিস বেগম, নুর নাহার বেগম, বান্দরবানের এডভোকেট উমা সিং মারমা, জায়তুন নাহার, কক্সবাজারের হুমায়রা বেগম, চকরিয়ার রাশেদা বেগম ও উখিয়ার রোখসানা বেগম প্রমুখ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল