সারাবিশ্ব এখন আমাদের দক্ষ তরুণদের দিকে তাকিয়ে আছে। আর সেই দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ তৈরির ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেশনাল ইন্সটিটিউটগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সে কারণে বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে আমরা বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ক্রাউন ইন্সটিটিউট অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (সিআইবিটি) আয়োজিত ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রফেশনাল কোর্সের গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনার ও ২০২৪-২০২৫ শিক্ষা বর্ষের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, দেশের উচ্চ শিক্ষার ৭০ শতাংশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আমাদের অধিভুক্ত কলেজগুলোর ভৌত অবকাঠামো অনেক ব্যাপক ও বিশাল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সারা বাংলাদেশ জুড়ে বিস্তৃত। এর মধ্যে দেড় লাখের বেশি শিক্ষার্থী প্রফেশনাল ইন্সটিটিউটগুলোতে পড়াশোনা করে। তারাও আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাদেরকে নিয়ে আমরা আলাদা একটা কনভেনশন করবো। তাদের মধ্য থেকে দক্ষ ফ্রিলেন্সার তৈরি করতে হবে, এআই অলিম্পিয়াডের মতো ইভেন্টেও তারা অংশ নেবে। ইতোমধ্যেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ইউনিসেফ, এটুআইসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে, আরও অনেকেই কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক সংস্কারে হাত দিয়েছি। বিশেষ করে যুগোপযোগী সিলেবাস প্রণয়নসহ আমরা ইতোমধ্যেই অনেক ক্ষেত্রে সংস্কার সম্পন্ন করেছি। আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের কাজ চলছে। আমরা দুই মাসের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছি-যেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নজিরবিহীন। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা এক মাসের মধ্যে ফল প্রকাশের পরিকল্পনা করছি। আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের বৃহত্তম ফরেনসিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি, যেখানে দেশ-বিদেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আসবে আমাদের সেবা নেয়ার জন্য।
রাজধানীর খিলক্ষেতে ডিএসই মিলনায়তনে সিআইবিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আজাদ ছাল্লাল ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব ফরেনসিক সায়েন্স অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিন কাশেম। স্বাগত বক্তব্য দেন সিআইবিটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মো. মামুনুর রশিদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. জাকের হোসেন।
জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত সিআইবিটির ছাত্র শহিদ আকরাম খান রাব্বীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ