নোয়াখালীর কবিরহাটে প্রেমিকের নানার বাড়ি থেকে ১৭ বছর বয়সী কিশোরী সায়মা ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের কবির মাস্টার বাড়ি থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিক আরাব বিল্লাকে (১৯) আটক করা হয়েছে।
নিহত সায়মা ইসলাম সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের মুহুরী বাড়ির প্রবাসী জিয়াউল হকের মেয়ে। প্রেমিক আরাব কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের মাদলা গ্রামের মো. সাহাব উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সায়মার পরিবার কিছুদিন আগে তাকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দিতে চেয়েছিল। এরপর পরিবারের সদস্যরা তার প্রেমের সম্পর্ক আরাবের সঙ্গে জানতে পেরে মেয়েকে গালমন্দ ও মারধর করেন। এ ঘটনায় গত তিনদিন ধরে সায়মা নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পরিবারের অগোচরে বসতঘরে দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রেমিক জানিয়েছে, ওই মেয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক দুই মাস ধরে নেই এবং সম্পর্ক প্রত্যাখ্যানের কারণে সে ক্ষোভে আত্মহত্যা করতে পারে।
ওসি আরও বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক