মানিকগঞ্জ জেলার কমবেশি সব জায়গায়ই আখ চাষ হয়ে থাকে। তবে সদর উপজেলা ও ঘিওরের আখ মানে ও স্বাদে ভিন্নতা থাকার কারণে এর চাহিদাও বেশি। সদর উপজেলার রমনপুর, ডাউটিয়া, বাগজান, নবগ্রাম, গিলন্ড এলাকার শতাধিক পরিবার আখ চাষের সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে আখ চাষিরা হাট বা মহাজনের কাছে বিক্রি না করে নিজেরই রাস্তার ধারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।
আখ চাষি রমিজ উদ্দিন (৭২) বলেন, এখন আর গুড় তৈরির অপেক্ষায় থাকতে হয় না। প্রতিদিন রাস্তার ধারে বসেই প্রচুর আখ বিক্রি হয়। ক্রেতারা এসব আখ নিজে খায় আবার পরিবারের জন্য নিয়ে যায়। আগে আমরা হাটে বা মহাজনের কাছে বিক্রি করতাম। এখন রাস্তার ধারে বসেই বিক্রি করি।
গিলন্ড গ্রামের মো. দেলোয়ার মিয়া (৭০) বলেন, রাস্তার ধারে আমরা ১০/১২ জন আখ বিক্রি করি। গড়ে প্রতিজন ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার আখ বিক্রি করি। মহাজনের কাছে বিক্রি করলে বিঘা প্রতি দাম দেয় ৭০ হাজার টাকা। আর নিজেরা রাস্তার পাশে বসে বিক্রি করলে লাখ টাকার বেশি বিক্রি হয়।
আরেক চাষি মো. ফিরোজ মিয়া (৩০) বলেন, এবার ৬ বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছি। প্রতিটি আখ ২০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। আমরা সাধারণত চায়না থ্রি, বোম্বাই, ধলী, রংবিলাশসহ বিভিন্ন জাতের আখ রোপণ করে থাকি। এসব আখ মিষ্টি, নরম ও সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদা বেশি।
সরিফুল নামে এক ক্রেতা বলেন, আমার বাড়ি জেলার ঘিওর উপজেলায়। পরিবার ঢাকার মিরপুরে থাকে। তাই পরিবারের জন্য আখ কিনে নিয়ে যাচ্ছি।
মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. রবিআহনুর আহমেদ জানান মানিকগঞ্জের মাটি আখ আবাদের জন্য খুবই উপযোগী।, ভালো দাম পাওয়ায় দিন দিন কৃষকরা আখ চাষের দিকে ঝুঁকছে। এ বছর সাড়ে পাঁচশ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। যা গত বছর ছিল ৫০৯ হেক্টর।
বিডি-প্রতিদিন/তানিয়া