ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গতকাল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত হলো ‘জনতার ইশতেহার’ সংলাপ, যার আয়োজন করে ট্রেইস কনসালটিং লিমিটেড। সংলাপে জানানো হয়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনি ইশতেহারে প্রধানত চারটি বড় দুর্বলতা রয়েছে। সেগুলো হলো জনগণের সরাসরি মতামত না নেওয়া, পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলোর আসনের জন্য নির্দিষ্ট সুবিধা না রাখা, ব্যবসায়িক ও কৃষি অঞ্চলকে বিশেষ গুরুত্ব না দেওয়া এবং ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি রক্ষার হার কম হওয়া। সংলাপে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এবং ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহাব এনাম খান। মূল্য প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ট্রেইস কনসালটিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়াদ মোহাম্মদ খালেদ হাসান। প্রবন্ধে বলা হয়, দলগুলো ইশতেহার তৈরির সময় জনগণের মতামত নেয় না, পিছিয়ে পড়া অঞ্চল বা কৃষি এলাকার জন্য বিশেষ সুবিধাও রাখা হয় না। বক্তারা জবাবদিহির অভাব এবং নির্বাচনি অনিশ্চয়তার কথাও উল্লেখ করেন।
সাইফুল হক বলেন, ‘সরকারে যাঁরা থাকেন তাঁদের কোনো জবাবদিহি থাকে না। ছয় মাস বা এক বছরে প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির জনগণকে জবাবদিহি করা উচিত। আর আমরা এখনো বুঝে উঠতে পারছি না ফেব্রুয়ারিতে আদৌ নির্বাচন হবে কি না।’
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জনতার ইশতেহার উদ্যোগের লক্ষ্য নাগরিকের সরাসরি মতামত, তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তিনির্ভর অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি স্মার্ট ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন।