ছোট লক্ষ্য তাড়ায় উড়ন্ত সূচনা করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উদ্বোধনী জুটিতে ৫১ রান তোলে তারা। তবে রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে খুলে যায় তাদের উইকেটের দরজা। ২৭ রান করা আলিক আথানজেকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন রিশাদ, ভাঙে প্রথম জুটি। সেই থেকেই ম্যাচে ফিরে আসে বাংলাদেশ।
তিন নম্বরে নামা কেসি কার্টি কিছুটা দেখেশুনে খেললেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২০তম ওভারে রিশাদের বলে স্লিপে সাইফ হাসানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৩০ বল খেলে তার সংগ্রহ ছিল মাত্র ৯ রান।
নিজের পরের ওভারেই আরও দুই উইকেট তুলে নেন রিশাদ। ওভারের প্রথম বলেই অফ স্টাম্পের বাইরে যাওয়া ডেলিভারিটি ব্যাট ছুঁয়ে যায় ব্র্যান্ডন কিংয়ের। উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান দ্বিতীয় চেষ্টায় বলটি গ্লাভসবন্দি করেন। কিং ৬০ বলে করেন ৪৪ রান। একই ওভারের চতুর্থ বলে শারেফান রাদারফোর্ডও সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফেরেন।
২৪তম ওভারে আবারো সাফল্য পান রিশাদ। এবার তার শিকার রোস্টন চেজ। ৬ রান করে ফিরলে ৯২ রানেই পঞ্চম উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। পাঁচটি উইকেটই রিশাদের দখলে যায়—যা তার আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইভ-উইকেট শিকার। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম ডানহাতি স্পিনার, যিনি ওয়ানডেতে এক ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন।
৩০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১০৮ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৪৯ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ২০৭ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন তাওহিদ হৃদয়। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাট থেকে আসে ৪৬ রান।
বিডি প্রতিদিন/আশিক