বরিশালের কালাবদর নদীতে অবৈধভাবে মাছ ধরতে বাধা দিতে গেলে হামলার শিকার হন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজহারুল ইসলাম। শনিবার সরকারি অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদের ওপর লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে চড়াও হয় বেপরোয়া জেলেরা। গুলি চালানোর পরও তারা ভয় না পেয়ে হামলা চালিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজহারুল ইসলাম জানান, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ, সদর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসাইনসহ তিনটি স্পিডবোট নিয়ে তারা কালাবদর নদীতে অভিযান চালান। বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে একটি নৌকা থেকে জাল ফেলতে দেখা গেলে অভিযানিক দলটি ধাওয়া করে। তখন জেলেরা নৌকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এরপর নদীতে ফেলা জাল উত্তোলনের সময় ৭–৮টি নৌকায় প্রায় ৫০–৬০ জন জেলে লাঠিসোটা ও ইট নিয়ে অভিযানকারীদের ওপর চড়াও হয়। তারা বেপরোয়াভাবে ইট নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে স্পিডবোটের চালক মামুন আহত হন। আত্মরক্ষার জন্য সঙ্গে থাকা ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তারা ১৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ২ রাউন্ড সিসা বুলেট নিক্ষেপ করে।
আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘জেলেরা এতটাই বেপরোয়া ছিল যে, গুলি চালানোর পরও তারা ভয় পায়নি। গুলির মধ্যেও তারা আমাদের স্পিডবোটের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছিল। পরে গুলিতে কয়েকজন আহত হলে তারা পালিয়ে যায়। খবর পেয়েছি, একজন মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছে। তবে ঠিক কতজন আহত হয়েছে, তা নিশ্চিত নই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মৎস্য দপ্তরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
সদর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসাইন বলেন, ‘হামলাকারীদের কাউকে চিনতে পারিনি। তাই আপাতত কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’