গাজীপুরের মৌচাকে সনাতন ধর্মাবলম্বী জয় কুমার দাস ও অন্যান্যদের সহযোগিতায় মাদরাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয় কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে। মিছিলটি প্রধান ফটক ও বাহাদুর শাহ পার্ক পার হয়ে বিশ্বজিৎ চত্বরে এসে সমবেত হয়।
এ-সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘ফাঁসি ফাঁসি, ফাঁসি চাই, ধর্ষকের শাস্তি চাই’, ‘ধর্ষকের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘গাজীপুরে ধর্ষণ কেনো, প্রশাসন জবাব দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই’, ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’ সহ বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভ মিছিলে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জবি শাখার মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ বলেন, ‘ধর্ষণ শুধু একটি অপরাধ নয়, এটি মানবতার প্রতি এক নির্মম আঘাত। সভ্য সমাজের বিবেকের ওপর এক গভীর কলঙ্ক। এ অপরাধের কোনো যুক্তি, কোনো ক্ষমা, কোনো আপস নেই। অপরাধী যত প্রভাবশালীই হোক না কেন তার জন্য একমাত্র উপযুক্ত শাস্তি হলো কঠোরতম বিচার। নীরবতা মানে অন্যায়ের প্রশ্রয়—তাই আসুন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসের কণ্ঠে উচ্চারণ করি ‘না’। সমাজ, পরিবার ও রাষ্ট্র সকল স্তরে একসাথে প্রতিরোধ গড়ে তোলাই পারে ধর্ষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে।’
জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, ‘গাজীপুরে অত্যন্ত নির্মম একটা ঘটনা ঘটেছে।বরাবরের মত রাষ্ট্র যন্ত্র ও সরকার উদাসীন। ইন্টেরিম সরকারের আমলে প্রায় চার শতাধিক শিশু ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে। যে আশা ভরসা নিয়ে বসিয়েছি তা অনেক দূরে। ইন্টেরিম সরকারকে বলতে চাই, আপনারা জনগণের সরকার হতে পারেন নাই। আপনারা ধর্ষকের সরকার হয়েছেন। অনতিবিলম্বে এ ধর্ষকের ফাঁসির ব্যবস্থা করা হোক।’
শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘গাজীপুরের এই নিকৃষ্ট ঘটনা সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না। আমরা এর আগে চট্টগ্রাম প্রকাশ্য দিবালোকে আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করতে দেখেছি। দেশে যখন কোনো সাধারণ ঘটনা ঘটে সুশীল সমাজ, মিডিয়া পাড়া তখন হইচই ফেলে দেয়। কিন্তু যখন মাদরাসার শিক্ষার্থী নির্যাতিত হয়, মসজিদের ইমাম নির্যাতনের শিকার হয়, মুসলিম নারী ধর্ষিত হয় তখন সুশীল সমাজ চুপ থাকে। আপনাদের বলবো এই সুশীলতা বন্ধ করেন। ধর্ষকের শাস্তি হিসেবে আমরা অনতিবিলম্বে ধর্ষকের ফাঁসি চাই।’