চট্টগ্রাম নগরে বড় পরিসরের তিনটি শিশু পার্ক ছিল। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে তিনটি পার্কই বন্ধ। ফলে সংকুচিত হয়ে যায় কোমলমতি শিশুদের বিনোদনের সুযোগ। তবে দীর্ঘদিন পর আবারও চালু হতে যাচ্ছে নগরের আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশু পার্কটি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) পার্কটি একটি বেসরকারি ওয়ান্ডারল্যান্ড গ্রুপকে পরিচালনায় ইজারা দিয়েছে। বর্তমানে নগরের শিশুদের বিনোদনের অন্যতম আঙিনা কাজির দেউড়ি শিশু পার্কটি ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে সিলগালা করে দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। তাছাড়া গত বছরের ৫ আগস্টের পর আগ্রাবাদের কর্ণফুলী শিশু পার্ক ও স্বাধীনতা কমপ্লেক্স কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। তবে বিলম্বে হলেও আগ্রাবাদের কর্ণফুলী শিশু পার্কটি চালু করা হচ্ছে। আগামী ১ ডিসেম্বর এটি চালু করার কথা। তবে বাকি দুটি কখন চালু হবে তাও এখনো অজানা।
জানা যায়, কর্ণফুলী শিশু পার্ককে এখন নতুন আঙিকে আরও সাজানো হয়েছে। যোগ করা হচ্ছে নতুন নতুন রাইড। এর মধ্যে আছে, শিশুদের মেরি সুপার চেয়ার, ট্রেন, সিন্দাবাদ, ফ্লাওয়ার কার্প ইত্যাদি। প্রবেশপথে নির্মাণ করা হয়েছে নান্দনিক গেট। গেটের ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখা যাবে নতুন ঝরনা। এ ছাড়া বিভিন্ন রাইড ও স্থাপনায় চলছে রং এবং মেরামত কাজ। পার্কের ভিতরের রাস্তা ও অন্যান্য স্থাপনাগুলোও সংস্কার করা হয়েছে। আগামী মাসে এটি চালু করার কথা। চট্টগ্রাম উন্নয়ন ফোরামের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনটি শিশু পার্কই বন্ধ ছিল। বিলম্বে হলেও একটি চালু হচ্ছে। ইট-কংক্রিটের এই শহরে অন্তত এখানে হলেও শিশুরা কিছু সময় কাটাতে পারবে।
ওয়ান্ডারল্যান্ড গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার সোহরাব হোসেন বলেন, পূর্বের কর্ণফুলী শিশু পার্ককে ভেঙে এখন সম্পূর্ণ নতুন আঙিকে নান্দনিকভাবে আধুনিক করা হচ্ছে। বর্তমানে গেট, রাস্তা, ঝরনা, ওয়াশরুম এবং রাইডের সংস্কার কাজ প্রায় শেষ। দর্শনার্থীরা এখন পুরাতন পার্ককে নতুন রূপে দেখতে পাবেন। আগামী ১ ডিসেম্বর ১৯টি রাইডার দিয়ে শুরু হবে। শিগগিরই যোগ হবে আরও ১০টি নতুন রাইড। আশা করি এটি নগরবাসী, বিশেষ করে শিশুদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিনোদনের কেন্দ্র হবে।
চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা এস এম সরওয়ার কামাল বলেন, দীর্ঘদিন পার্কটি বন্ধ ছিল। আগের ইজারাদারের মেয়াদ শেষ। তাই নতুন করে ওয়ান্ডারল্যান্ড গ্রুপকে ২০ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। আশা করি, এটি চালু হলে শিশুরা আধুনিক ও নিরাপদ বিনোদনের সুযোগ পাবে। জানা যায়, পার্ক আগে বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকত। নতুনভাবে এটি সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে সকালে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবেশাধিকারে নিয়ন্ত্রণ থাকবে। প্রবেশ মূল্যও রাখা হবে সহনীয়।