কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন সড়কের গর্তে পড়ে উল্টে যাচ্ছে পরিবহন। এতে যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। ভাঙা সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। দ্রুত সংস্কার না করলে নগরবাসীর দুর্ভোগ আরও বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সূত্রমতে, কুমিল্লা নগরীর নিউমার্কেট, রাজগঞ্জ, চকবাজার, কাপ্তান বাজার, নজরুল এভিনিউ, দ্বিতীয় মুরাদপুরসহ বিভিন্ন সড়কে ছোটবড় গর্ত হয়ে গেছে। রাজগঞ্জ মোরগ বাজার গেটের পাশের সড়কের বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন উল্টে পড়ে মানুষজন আহত হচ্ছেন।
বাণিজ্যিক এলাকা চকবাজারের বিস্তীর্ণ এলাকায় খানাখন্দ। নগরীর প্রাণ কেন্দ্র নিউ মার্কেটের সড়কে গর্ত হয়ে আছে। বৃষ্টি হলে সেখানে পানি জমে ডোবায় রূপ নেয়। দিন দিন সেখানে গর্তের পরিমাণ বাড়ছে। কাপ্তান বাজার থেকে পাক্কার মাথায় পর্যন্ত সড়ক ভেঙে গ্রামীণ রাস্তা হয়ে আছে। নজরুল এভিনিউ থেকে রানীর বাজার সড়ক ও দুই নং মুরাদপুর থেকে হাউজিং সড়ক দীর্ঘদিন ধরে অর্ধেক কাজ করে ফেলে রাখা হয়েছে।
রাজগঞ্জ এলাকার সুজন টিনঘরের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসাইন বলেন, রাজগঞ্জ মোরগ বাজার গেটের উল্টো দিকে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এখানকার সড়কের বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি সিটি করপোরেশন একপাশে ঢালাইয়ের কাজ করেছে। বাকি অংশ গর্ত হয়ে আছে। সেখানে প্রতিনিয়ত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন উল্টে পড়ে মানুষজন আহত হচ্ছেন। গত মঙ্গলবারও চারটি অটোরিকশা উল্টে আহত হয়েছেন কয়েকজন। সড়কের কাজ দ্রুত শেষ হলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কুমিল্লা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান টিটু বলেন, সড়কের গর্ত ছোট থাকতে ব্যবস্থা নেওয়া হলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে। এ ছাড়া রাষ্ট্রের অর্থের সাশ্রয় হবে। এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মনিটরিং টিমের সঙ্গে বেসরকারি মনিটরিং টিম করা যেতে পারে।
সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সদস্য মোহাম্মদ আনিসুর রহমান আখন্দ বলেন, রানীর বাজার সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে অর্ধেক কাজ করে ফেলে রাখা হয়েছে। দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। কাজ দ্রুত শেষ না হলে নগরবাসী রাস্তায় প্রতিবাদে নামতে বাধ্য হবে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মামুন বলেন, রাজগঞ্জ বাজারের একপাশের কাজ করা হয়েছে। নির্মাণ প্রক্রিয়া শেষে এটি উন্মুক্ত করে বাকি অংশের কাজ করতে হবে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন সড়কের কাজ পুরো শেষ করা যায়নি। আমরা দ্রুত কাজগুলো শেষ করব।