বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ দুটি সড়ক খানাখন্দে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় সড়কটির স্থায়িত্ব বেশিদিন থাকে না। প্রতি বছর বর্ষায় সড়কটিতে সৃষ্টি হয় খানাখন্দ।
এবারও বৃষ্টিতে পিচ উঠে সড়কটিতে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী রোগী, স্বজন, মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ, আইএইচটির শিক্ষার্থীসহ ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসের মধ্যে মসজিদ থেকে রাজাবাহাদুর সড়কের প্রবেশমুখ এবং মসজিদ থেকে বাংলাবাজার পর্যন্ত আরেকটি সড়ক রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দুটি দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করে। কিন্তু এ সড়কটির পিচ বেশিদিন টিকে না। এক বছরের মধ্যে পিচ উঠে খানাখন্দ হয়। যার কারণে এ সড়কে রিকশাও চলাচল করতে চায় না। বর্ষার সময় সড়কের খানাখন্দে পানি জমে থাকে। তখন হেঁটে চলাও কষ্টকর হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সড়ক দুটি নির্মাণ ও মেরামতে নিম্নমানের খোয়া দেওয়া হয়। পিচও ভালোমতো দেওয়া হয় না। তাই যানবাহন চলাচল করলে ইটের খোয়া ভেঙে গুঁড়া হয়ে যায়। পরে পিচসহ উঠে খানাখন্দ তৈরি হয়। বৃষ্টিতে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি করে।
যার কারণে এক বছরের মধ্যে সড়ক দুটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়সাল আলম বলেন, মেডিকেলের অভ্যন্তরের সড়কটি ২০২৩ সালে করা হয়। এটা বিটুমিনাস কার্পেটিং সড়ক। বরিশাল উপকূলীয় অঞ্চল। বর্ষার মৌসুমে এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। তাই বিটুমিনাস কার্পেটিং রাস্তা টেকে না। আমি সিদ্ধান্ত দিয়েছি আরসিসি রাস্তা করার। এতে সড়কের স্থায়িত্ব বাড়বে। তাই এখন থেকে হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ রাস্তা আরসিসি করা হবে। আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি।