সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবসায়ী ও বোট মালিকদেরকে দুই সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এ সময়ের মধ্যে প্রশাসনের দেওয়া সব শর্ত পূরণ না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
সম্প্রতি সুন্দরবনে বোট দুর্ঘটনায় আমেরিকা প্রবাসী ও বাংলাদেশ বিমানের সাবেক পাইলট রিয়ানা আজাদের মৃত্যুর পর এ পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন। গত শনিবার বোট উল্টে নিখোঁজ হন রিয়ানা আজাদ, পরে সোমবার তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার পর বুধবার সকাল থেকে মোংলার ফেরিঘাট, পশুর চ্যানেল ও করমজল পর্যটনকেন্দ্রে যৌথ অভিযান চালায় কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, পুলিশ, নৌপুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও নৌপরিবহন অধিদপ্তর। সারাদিন চলা এই অভিযানে বোট মালিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়ে দুই সপ্তাহের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নওসীনা আরিফ বলেন, বোটগুলোর ফিটনেস সনদ ও লাইসেন্স সংগ্রহ, পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট ও বয়া রাখা, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন না করা—এসব নির্দেশনা মেনে চলার জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। এরপরও যারা নিয়ম মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের পরিদর্শক মো. রাশেদুল আলম বলেন, সুন্দরবনে চলাচলকারী অধিকাংশ বোটের রেজিস্ট্রেশন ও চালকদের লাইসেন্স নেই। আমরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার পর সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বোট ও চালকের লাইসেন্স সংগ্রহ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন