বরিশাল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান, সড়ক, পার্ক, ফুটপাত দখল করেছে ভ্রাম্যমাণ খাবার দোকানিরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। সবচেয়ে বাজে অবস্থা নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোডের পাশের ভ্রাম্যমাণ খাবার দোকানগুলো। এসব খাবার দোকানে ক্রেতারা যাওয়া-আসার সময় দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নগরবাসী জানান, সম্প্রতি নগরীর সদর রোড বিবির পুকুরপাড়, বেলস পার্ক, ত্রিশ গোডাউন, হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা লেকের পাড়, আমতলা মোড় পানি ট্যাংকি, নথুল্লাবাদসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে, পার্ক, ফুটপাত এবং ওয়াকওয়ে দখল করে বসা ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও দোকানগুলো ফিরে এসেছে। সিটি করপোরেশন এসব দোকানির কাছ থেকে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা নিয়ে তাদের বসার সুযোগ করে দিয়েছে। পুনর্বাসনের নামে অনেক পুরোনো দোকানের সঙ্গে নতুনদের আগমনও বাড়ছে। এসব এলাকা দিয়ে হাঁটাও দায় হয়ে পড়েছে। নগরীর আমতলা পানির ট্যাংকি, হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা লেকের পাড় ও নথুল্লাবাদ এলাকার সিঅ্যান্ডবি রোডের পাশের ভ্রাম্যমাণ খাবার দোকান হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহাসড়ক দিয়ে বিপুলসংখ্যক যানবাহন চলাচল করে। ক্রেতারা ঝুঁকি নিয়ে এসব খাবার দোকানে আসা-যাওয়া করেন। তাই যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নগরবাসী।
তারা জানান, নগরীর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ খাবার দোকান, ভ্যানগাড়ির সবজিসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রেতাদের কারণে যানজট এখন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু কোনো উদ্যোগ নেই সিটি করপোরেশনের।
এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ শাখার কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বলেন, আমরা উচ্ছেদ করার পর হাটবাজার শাখা বসার অনুমতি দিয়েছে। তারা পরিচ্ছন্নতার জন্য টাকাও নেয়। মহাসড়কের পাশে আমরা কোনো খাবার দোকান দেখলেই সরিয়ে দিই। নতুন করে আবারও বসে কি না খোঁজ নিয়ে দেখব।