কুড়িগ্রামে দিন যতই যাচ্ছে ততই ক্রমেই শীতের দাপট বাড়ছে এ জেলাসহ উত্তরাঞ্চলে। গত কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। বুধবার সকাল ৬ টায় রাজারাহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস জানায়, বুধবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সামনের দিনগুলোতে এ তাপমাত্রা আরো কমবে বলে জানায় এ অফিসটি।
এর আগের দিন মঙ্গলবার এ তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে দেখা যায়, বিগত দুদিনেই তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোরের সবুজ ঘাসে চিকচিক করছে শিশিরবিন্দু। প্রতিদিন বিকেল হলে তাপমাত্রা কমতে থাকে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেমে আসে শীতলতা। রাতভর ঠান্ডা থাকলেও ভোররাতে অনেক ঠান্ডার কারণে মানুষজন লেপ-কম্বল, ও চাদর মুড়ে রাত কাটান। সকাল ৭টা পর্যন্ত হালকা কুয়াশা থাকে। পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা কেটে গিয়ে সূর্যের মুখ দেখা যায়। দিনভর সুর্যের তাপে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। বিকেলে আবারো তা কমতে থাকে। সদর উপজেলার পাঁচগাছী গ্রামের কোবাদ মিয়া জানান,এবার এখনে যে শীত শূরু হইছে আমরা কল্পনাও করতে পারছিনা।
অপরদিকে, পৌরসভার ভকেশনাল মোড় এলাকার রিক্সাচালক লতিফ মিয়া জানান, ভোর বেলা শুরু করি এসকা চালাই। সকাল হওয়া পর্যন্ত অনেক কষ্ট করি এসকা চালাই। এখন কুয়াশা কম থাকলেও দিনদিন আরো বাড়ছে। এছাড়াও শীতের কারণে জেলার জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহে শীতজনিত রোগী প্রতিদিন আসছে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, বর্তমানে জেলার তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। নভেম্বরের শেষদিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। আরও তাপমাত্রা ক্রমেই কমতে থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম