আমাদের সামাজিকতা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য যেমন একই স্রোতধারায় প্রবাহিত হয়ে আসছে। তেমনি রাজনৈতিক চর্চা এবং কর্মধারায়ও একটা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। সেই ধারা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলে আমাদের হোঁচট খেতে হয় এবং অতীতেও তাই হয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক নীতি ও আদর্শকে ধারন করেছি।
কিন্তু সেটা পশ্চিমা গণতন্ত্রের সাথে মেলাতে পারিনি এবং পারা যাবে বলেও আশাবাদী হওয়া যাচ্ছে না। সেখানে দলের মধ্যে যেভাবে গণতন্ত্রের চর্চা হয়-আমরা এখনো তা রপ্ত করতে পারিনি। বৃটিশ বা মার্কিন গণতন্ত্রের চর্চা আমাদের এই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতে অনুপস্থিত।
যেমন ধরা যাক-বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারত-সেখানেও বৃটিশ বা মার্কিন রাজনৈতিক সংস্কৃতির সাথে তাদের মিল নেই। বৃটেন কিংবা আমেরিকাতে উত্তরাধিকারের রাজনীতি এক প্রকার অচল। সেখানে নেতৃত্বে আসতে হলে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে আসতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে উত্তরাধিকারের রাজনীতি সচল এবং সরব।
আমরা এই উত্তরাধিকার সূত্রের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারি না এবং সেটা পারার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হতে হয়েছে। সুতরাং আমাদের ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় সে রাজনৈতিক প্রবণতা চলে এসেছে সেটাই ধারন করে আমাদের রাজনৈতিক পথ চলতে হবে এবং অনুসরণ করে যেতে হবে।
আমাদের উপমহাদেশের দেশ সমুহে রাজনীতির ক্ষেত্রে কয়েকটি পরিবারের উদ্ভব হয়েছে। যেমন— ভারতে গান্ধী পরিবার, পাকিস্তানে ভুট্টো পরিবার, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, শহীদ জিয়া এবং পল্লীবন্ধু এরশাদ পরিবার, মায়ানমারে অং সান পরিবার। এসব পরিবারের উত্তরাধিকারের রাজনীতি যতদিন সচল ছিল কিংবা আছে, ততদিনে তাদের সৃষ্টি করা রাজনৈতিক পথ চলায় কোনো বিঘ্ন আসেনি বা কোনো বিঘ্ন নেই।
কিন্তু এই উত্তরাধিকারের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে গিয়ে সেই রাজনীতিতে কোনো ফলোদয় হয়নি। এসব পরিবারের উত্তরাধিকার কারা হয়েছে? স্ত্রী, পুত্র কিংবা কন্যা।
এর বাইরে সম্পত্তিতেও যেমন উত্তরাধিকার হয়না-রাজনীতিতেও তা হয়নি। ভাই কখনো উত্তরাধিকার হতে পারে না-হলে তাতে বিপর্যয়ও নেমে আসে। যেমন-পল্লীবন্ধু এরশাদের প্রাণের সংগঠন জাতীয় পার্টিতে যখন তাঁর ভাই জিএম কাদের সম্রাট হয়ে বসতে চাইলেন, তখনই তার রাজনীতিতে বিপর্যয় নেমে এসেছে এবং হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রাণের জাতীয় পার্টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়ে আরো কিছু আলোচনার আগে-আমাদের উত্তরাধিকারের রাজনীতির কিছু ইতিহাস ঘেটে দেখা যেতে পারে।
পশ্চিম থেকেই শুরু করা যাক-যেমন পাকিস্তান। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতিতে জুলফিকার আলী ভুট্টোর পরিবারের উদ্ভব হয়। ভুট্টোর পরে তাঁর রাজনীতিতে কন্যা বেনজির ভুট্টোর আগমন ঘটে। বেনজির নিহত হবার পর তার স্বামী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হন। এরপরে তাঁর ছেলে তার নানার দলের উত্তরাধিকার পেয়ে এখনো পিপিপিকে টিকিয়ে রেখেছেন।
অর্থাৎ ভুট্টোর পার্টি তাঁর পরিবার থেকে বেরিয়ে যায়নি। পাকিস্তান স্বাধীন হবার পর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর কোনো উত্তরাধিকার থাকলে তিনিই হয়তো রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারতেন। কিন্তু তার বোন ফাতেমা জিন্নাহ ভাই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর উত্তরাধিকার হতে পারেননি বলে-রাজনীতি থেকে জিন্নাহ পরিবারই ছিটকে পড়েছে। ফিরে দেখা যাক ভারতের দিকে।
স্বাধীনতাত্তোর ভারতে নেহেরু পরিবার দীর্ঘদিন রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং সেই সাথে দেশ পরিচালনাও করেছে। নেহেরু, ইন্দিরা, রাজীব কংগ্রেসের ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছেন এবং এখনো গান্ধী পরিবারের পুত্রবধূ সোনিয়া এবং তাঁর পুত্র রাহুল গান্ধী উত্তরাধিকার সূত্রে কংগ্রেসের মতো পার্টিকে পরিচালনা করে যাচ্ছেন।
রাজীবের ভ্রাতৃবধূ মেনকা কংগ্রেসের কোনো উত্তরাধিকারের অংশ পাননি। এবং তিনি কংগ্রেস থেকে ছিটকেও পড়েছেন। পারিবারিক নেতৃত্বের বাইরে গিয়ে কংগ্রেসের বাঘা-বাঘা নেতাদের কি পরিণতি হয়েছে সেটাও ভারতের রাজনীতিতে বিদ্যমান। ইন্দিরা গান্ধীকে কংগ্রেস থেকে বাদ দিয়ে কংগ্রেসকে পারিবারিক রাজনীতি মুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই কংগ্রেসটাই আদি কংগ্রেস হিসেবে থেকে গেছে এবং কংগ্রেসের আদি প্রতীক ‘তাতের চরকা’ তাও আদি কংগ্রেসের হাতে রয়েছে।
এই প্রতীক নিয়ে জওহর লাল নেহেরুও নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। তার কন্যা ইন্দিরা গান্ধী যখন আদি কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে-ইন্দিরা কংগ্রেস সৃষ্টি করলেন-তখন তিনি দলীয় প্রতীক নিয়ে যেতে পারেননি। কিন্তু তাঁর সাথে ছিল তাঁর পারিবারিক ঐতিহ্য।
সেই পরিবারের ঝান্ডা হাতে নিয়ে তিনি নতুন ভাবে কংগ্রেস সৃষ্টি করলেন। সেই ইন্দিরা কংগ্রেস ক্ষমতায় গেছে। যে কংগ্রেস এখনো টিকে আছে এবং আগামী দিনে আবারো ক্ষমতায় যাবার অপেক্ষায় রয়েছে।
এবার আসি আমাদের বাংলাদেশের কথায়। এখানেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, শহীদ জিয়া এবং পল্লীবন্ধু এরশাদ পরিবার ঘিরেই বাংলাদেশের রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে। তাদের উত্তরাধিকারকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির রাজনীতি অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে-এ কথা হলফ করেই বলা যায়। আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল বলে গণ-আন্দোলনে তাদের পতন হয়েছে। তবে এটাই আওয়ামী লীগের শেষ অধ্যায় নয়। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এর চেয়েও বড় বিপর্যয় নেমে এসেছিল।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু সহ তাঁর পরিবারের ২ জন সদস্য বাদে সবাইকে হত্যা করা হয়েছিল। তখনও আওয়ামী লীগ হয়ে গিয়েছিল নিষিদ্ধ দল। সেখান থেকেও আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কারণ তখনও মুজিবের উত্তরাধিকারের রক্তধারা বিদ্যমান ছিল। আর এবারের বিপর্যয়ে তো এই পরিবারের সবাই বেঁচে আছেন এবং নিরাপদেই আছেন। সুতরাং আজকের আওয়ামী লীগের সাথে আগামী দিনের আওয়ামী লীগকে মিলাতে গেলে অংকে গরমিল হয়ে যাবে।
এরপর জিয়া পরিবারের সৃষ্টি করা বিএনপিতেও অনেক বার ভাঙন হয়েছে। কিন্তু সেখানেও উত্তরাধিকারের রাজনীতি জয়ী হয়েছে। বিএনপি অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে চলেও এখনো দাপটের সাথে টিকে আছে।
কারণ জিয়া পরিবারের বাইরে বিএনপির অস্তিত্বের কথা-এই দলের আপামর কর্মী, সমর্থকরা ভাবতেও পারে না। সুতরাং উত্তরাধিকারের রাজনীতি এখানেও অপ্রতিরোদ্ধ প্রভাব বিদ্যমান রয়েছে। সমস্যা হয়েছে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে। এখানে একটা উটকো ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে এক অবৈধ উত্তরাধিকারের দাবি নিয়ে। জাতীয় পার্টির রাজনীতি খুব স্বাভাবিক এবং স্বচ্ছন্দ গতিতেই চলতে পারতো-যদি এখানে সঠিক উত্তরাধিকারের হাতে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব থাকতো।
পল্লীবন্ধু এরশাদ যখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন-আমরা সবাই ধরে নিয়েছিলাম তাঁর আর ফেরার পথ নেই-তখনও তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ছিলেন। পল্লীবন্ধু এরশাদের মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরাধিকার ছিলেন স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদ।
পার্টিতেও তিনি ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদের অধিকারী-অর্থাৎ সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান। পার্টির গঠনতন্ত্র অনুসারেও বেগম রওশন এরশাদের জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হবার কথা। কিন্তু বেগম এরশাদ যখন স্বামীহারা শোকে মৃত্যুমান-সেই সুযোগ নিয়ে তাঁর ভাই জিএম কাদের নিজেকে পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করলেন।
তারপর যা হবার তাই হলো। পার্টিতে মহাবিপর্যয়। পল্লীবন্ধু এরশাদ যে জাতীয় পার্টি রেখে গেলেন-সেই পার্টি জিএম কাদেরের সুবাদে তিন ভাগে ভাগ হয়ে গেল। এখন পার্টির নেতা-কর্মীদের বুঝে নতে হবে- পার্টির কোন নেতৃত্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উত্তরাধিকার বহন করে। এক বাক্যেই বুঝতে হবে- সেটা বেগম রওশন এরশাদ। এবং তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন-তাঁর নেতৃত্বের জাতীয় পার্টিই হচ্ছে এরশাদের প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি।
এরশাদ থেকে যারা বিচ্যুত হবেন-তারা অন্য দল করতে পারবেন কিন্তু আসল জাতীয় পার্টি হতে পারবেন না। জিএম কাদের তো তার গ্রুপে পল্লীবন্ধু এরশাদের নাম নিশানাই মুছে দিয়েছেন প্রায়। তার গ্রুপের মহাসচিব জাতীয় পার্টির দায়িত্বতো বিএনপির হাতে তুলে দিতে চান। আর জিএম কাদের নিজে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার মিশনে আছেন। হাওয়া থেকে যে সব কথা পাওয়া যায়-তাতে শুনতে পাই, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হবার গ্রুপে জাতীয় পার্টিকে অন্তর্ভুক্ত করার দায়িত্বটা জিএম কাদের হাতে অর্পণ করেছে। এবং তিনি সেই দায়িত্বই পালন করছেন।
অর্থাৎ যদি দেখানো যায়-বিগত সরকারের সরকারি দল এবং বিরোধী দল উভয়কেই নিষিদ্ধ করে নির্বাচন করানো হয়েছে-তাহলে ওই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে।
অতঃপর আন্দোলনের মাধ্যমে ওইসব নিষেধাজ্ঞা মুছে যাবে। তাইতো জিএম কাদেরের কথায় ও ভাবে প্রকাশ পায় জাতীয় পার্টিকে যদি ব্যান করে দেয় তাহলে করুক। তাতে কিছু যায় আসে না। তাই আমরা চাই, অপর দুই প্রধান দলে যখন উত্তরাধিকারের রাজনীতি বহাল রয়েছে-সেখানে জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রেও তাই হতে হবে। আমাদের এই উপমহাদেশে উত্তরাধিকার সূত্রে শাসন ক্ষমতা সেই বৃটিশ পূর্ব রাজা, সুলতান এবং মোঘল যুগ থেকেই প্রচলিত ছিল। কখনোই শাসন ক্ষমতায় ভাই, চাচা উত্তরাধিকার হয়নি। বৃটিশ শাসন পূর্ব নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করে মীর জাফর নবাব হয়েছিল কিন্তু টিকতে পারেনি।
মীর জাফরকে সরিয়ে তার জামাতা মীর কাশেমকে নবাব করা হয়েছিল। সেও থাকতে পারেনি। এই ধারাবাহিকতাই তো চলে এসেছে। তাই আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য অনুযায়ী আমরাও এই ধারাবাহিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো না। জাতীয় পার্টিতেও সঠিক উত্তরাধিকারের রাজনীতি বজায় রাখতে হবে। বেগম রওশন এরশাদ যতদিন বেঁচে আছেন ততদিন তিনি পার্টির চেয়ারম্যান থাকবেন। তাও তিনি এই দায়িত্ব পেয়েছেন ২০২৪ সালের ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত পার্টির দশম কাউন্সিলের মাধ্যমে।
অর্থাৎ তিনি জাতীয় পার্টির নির্বাচিত চেয়ারম্যান। নিশ্চয় নির্বাচন কমিশনও সেই স্বীকৃতি দিবেন। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল থেকে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এটা যে কত বড় অযোক্তিক দাবি তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কারণ কি? কোন অপরাধে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করতে হবে?
জাতীয় পার্টি নির্বাচন সমূহে অংশগ্রহণ করেছে এটাই কি অপরাধ? আওয়ামী লীগ সরকারের আগে জাতীয় পর্যায়ে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ নির্বাচনেও এই পার্টি অংশগ্রহণ করেছে। জাতীয় পার্টির নীতিমালাতেই রয়েছে-সকল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে চরম বিরূপ অবস্থায় এবং কোন প্রকার লেবেল প্লেইং ফিল্ড ছাড়াই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। তা হলে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় দোষের কি হয়েছে? ২০২৪ সালে বেগম রওশন এরশাদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। কারণ বিগত ২টি নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি সব দলকে ছাড়া নির্বাচনে যেতে রাজি হননি।
গোটা জাতীয় পার্টিই ২০২৪ এর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়নি। জিএম কাদেরের একক সিদ্ধান্তে তার গ্রুপ নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। এই নির্বাচনের দায়-দায়িত্ব জাতীয় পার্টি বহন করে না। যার একক সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগ শেষ নির্বাচন করার সুযোগ পেয়েছে-দায়ী করলে সেই জিএম কাদেরকেই দায়ী করতে হবে। পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টি বেগম রওশন এরশাদের নেতৃত্বে সব সময় সুষ্ঠু গণতন্ত্র বিকাশে এবং জনগণ ও নেতা-কর্মীদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে।
লেখক : কাজী মামুনূর রশিদ (মহাসচিব-জাতীয় পার্টি)
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত