মিয়ানমারের রাখাইনে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর বাংলাদেশে ইয়াবা ও আইসের নতুন প্রবাহ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে কক্সবাজারের ৩৪টি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির মাদকের অন্যতম গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। মাদক পাচার ও বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় এ বছর নতুন করে শতাধিক ‘হটস্পট’ তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি ১৫ সংস্থার সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সাইফউদ্দিন শাহীন বলেন, ‘কক্সবাজার ও রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প মাদকমুক্ত করতে ১৫ সংস্থা নিয়ে গঠিত টাস্কফোর্স যৌথভাবে কাজ করছে। গত দেড় মাসে ৩৩৬টি মামলা দায়ের এবং ৪৭৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কক্সবাজার মাদকমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত টাস্কফোর্সের কার্যক্রম চলবে।’ সীমান্ত এলাকায় মাদক নিয়ে গবেষণাকারী ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চল (উত্তর ও দক্ষিণ) উপপরিচালক হুমায়ন কবির খোন্দকার বলেন, ‘রাখাইনে আরাকান আর্মির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর মাদকের প্রবাহ বৃদ্ধির তথ্য আমাদের কাছে এসেছে। এটা নিয়ে কাজ করছি আমরা।’ অনুসন্ধানে জানা যায়, গত বছরের শুরুর দিকে রাখাইনে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা শুরু করে আরাকান আর্মি। বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত এবং রাখাইনের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে এ সশস্ত্র সংগঠনটি। রাখাইনে আরাকান আর্মির একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর বাংলাদেশে অভিমুখে শুরু হয়েছে ইয়াবা এবং আইসের নতুন জোয়ার। সীমান্তের পরিচিত ১৯টি পয়েন্টসহ নানান পথ দিয়ে প্রবেশ করছে ইয়াবা ও আইস। মিয়ানমার থেকে আসা এসব মাদকের অন্যতম গন্তব্যে পরিণত হয়েছে কক্সবাজারের ৩৪ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির। চলতি বছরে মাদক বিক্রির হটস্পটে যুক্ত হয়েছে নতুন করে শতাধিক স্পট। এ স্পটগুলোকে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রির পাশাপাশি আশপাশের এলাকায় নেশাপণ্য মজুতও হয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদকের ভয়াবহতার চিত্র উঠে এসেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশের অপরাধ পরিসংখ্যানে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের আট মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বিভিন্ন অপরাধে আড়াই শতাধিক মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫০টির বেশি মামলা মাদকসংক্রান্ত। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণবিষয়ক দপ্তর ইউএনওডিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যত প্রকার মাদক প্রবেশ করে তার মধ্যে খুবই অল্প জব্দ করতে পারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। জাতিসংঘের উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয় সংস্থা আঙ্কটাডের ২০২৩ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে মাদকের কারণে প্রতি বছর পাচার হয় প্রায় ৫ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। আর মাদক কেনাবেচা করে অর্থ পাচারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম।
শিরোনাম
- রাঙামাটিতে কাঠুরিয়া গণহত্যার বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন
- কাজাখস্তানকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশ
- মস্কোয় বৈঠকের প্রস্তাব নাকচ করলেন জেলেনস্কি
- এইচআইভি চিকিৎসায় সমন্বিত ব্যবস্থাপনার বিকল্প নেই
- ভাঙ্গায় শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ
- বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নওগাঁয় ভিন্ন আয়োজন
- নেত্রকোনায় পাল্টাপাল্টি হামলায় জোড়া খুন
- পাহাড়ে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পাড়াবনবাসীদের নিয়ে নতুন উদ্যোগ
- গাজায় অনাহারে মৃত্যু ৩৭০ জনে পৌঁছেছে
- হাসিনা-রেহানার দুর্নীতির ৩ মামলায় আরো পাঁচজনের সাক্ষ্য
- ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না’
- ব্যবসায়ী শাওন হত্যা মামলায় রিমান্ডে আনিসুল হক
- লক্ষ্মীপুরে মাদক ও বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে লালকার্ড দেখাল শুভসংঘের শিক্ষার্থীরা
- ফ্রান্সের জাদুঘর থেকে ৯৫ লাখ ইউরোর চীনামাটির বাসন চুরি
- নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি, ১৭ জনের যাবজ্জীবন
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৬৩
- গাইবান্ধায় ‘কষ্টি’ পাথরের মূর্তি উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
- ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে রাশিয়ার ‘ভেটো’ ক্ষমতা নেই: ন্যাটো প্রধান
- আলীকদমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গৃহবধূর মৃত্যু
- স্বৈরাচারী শাসনের অন্ধকারে ফিরতে চাই না: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রিজভী
প্রকাশ:
০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
আপডেট:
০২:১২, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
বেপরোয়া মাদকচক্র : শতাধিক হটস্পট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে
মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

জবির আশপাশের অবৈধ বাসস্ট্যান্ড উচ্ছেদে প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের
১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

রাঙামাটিতে কাঠুরিয়া গণহত্যার বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন
২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম