রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আবারও জানিয়েছেন, ইউক্রেন সংকট নিরসনে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিকে মস্কোয় বৈঠকের জন্য স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কেবল "বৈঠকের জন্য বৈঠক" কোনো অর্থ বহন করে না—এ ধরনের আলোচনা অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ ও ফলপ্রসূ হতে হবে।
বুধবার চীনের বেইজিংয়ে দাওইউটাই রেসিডেন্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, “কেবল আলোচনার জন্য আলোচনা করলে কোনো সমাধান আসে না। বৈঠক যদি যথাযথভাবে প্রস্তুত হয় এবং ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনে, তবে আমি কখনোই তা প্রত্যাখ্যান করিনি। যদি জেলেনস্কি প্রস্তুত থাকেন, তিনি মস্কোয় আসতে পারেন এবং বৈঠক হতে পারে।”
পুতিন আরও দাবি করেন, সম্প্রতি আলাস্কায় অনুষ্ঠিত রুশ-মার্কিন শীর্ষ বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম এই ধরনের বৈঠকের প্রস্তাব দেন। তবে জেলেনস্কির প্রেসিডেন্ট পদে বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। পুতিন বলেন, “জেলেনস্কির সাংবিধানিক মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। ইউক্রেনের সংবিধানে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ বাড়ানোর কোনো বৈধ প্রক্রিয়াও নেই।”
এদিকে, একই দিন ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পত্রিকা কমপাস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানান, “রাশিয়ার প্রধান অগ্রাধিকার হচ্ছে শান্তিপূর্ণ সমাধানের মাধ্যমে চলমান সংকট নিরসন। এ লক্ষ্যেই আমরা নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।”
ল্যাভরভ আরও বলেন, চলতি বছরের বসন্তে রাশিয়ার উদ্যোগেই মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে সরাসরি আলোচনা পুনরায় শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় তুরস্কের ইস্তান্বুলে তিন দফা সরাসরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে কিছু অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এর মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং নিহত সেনাদের মরদেহ ফেরত দেওয়ার মতো মানবিক ইস্যুগুলিও অন্তর্ভুক্ত।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি ও ফক্স নিউজ।
বিডি-প্রতিদিন/শআ