মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন, শালিখা উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন নিয়ে মাগুরা-২ নির্বাচনি আসন। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ আসনে সাবেক মন্ত্রী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি কাজী সালিমুল হক (কাজী কামাল) ও ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন মনোনয়নের জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন। এ তিন হেভিওয়েট ছাড়াও আসনটিতে জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির এম বি বাকের, ইসলামী আন্দোলনের জেলা আমির মুফতি মোস্তফা কামাল ও এনসিপির জেলা সভাপতি ইমরান নাজির প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তারা সবাই ভোটের জন্য ব্যাপক গণসংযোগ করছেন। রাজনৈতিক সূত্রগুলোর তথ্যানুযায়ী, এ আসনে প্রকাশ্যে বিএনপির দুটি গ্রুপ আছে। একটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন নিতাই রায় চৌধুরী। অন্যটিতে আছেন কাজী সালিমুল হক (কাজী কামাল) ও রবিউল ইসলাম নয়ন। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী এই তিনজনই নির্বাচনি এলাকায় সভা-সমাবেশসহ গণসংযোগ করছেন। প্রসঙ্গত, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে এই তিন নেতারই ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো। এ কারণে মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রত্যেকেই আশাবাদী। ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব মাগুরা-২ আসনের ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী রবিউল ইসলাম নয়ন বলেন, এ আসনের সাধারণ মানুষ আমাকে তাদের নিজের মানুষ হিসেবে মনে করে। প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ের থেকেই চাচ্ছেন আগামী নির্বাচনে দল যেন আমাকে মনোনয়ন দেয়।
এ নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাকের রহমানকে এ আসনটি উপহার দিতে চাই। আমি নির্বাচিত হতে পারলে হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ থাকবে না। সবার মতামতের ভিত্তিতে উন্নয়নমূলক কাজসহ আমার নির্বাচনি এলাকা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। সেই সঙ্গে সন্ত্রাস, ঘুষ, দুর্নীতি, মাদকসহ সব ধরনের অত্যাচার-অনাচারমুক্ত এলাকা গড়ে তোলার চেষ্টা করব। যা অন্যদের নিকট অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হবে।
আসনটিতে মাগুরা জেলা জামায়াতের আমির এম বি বাকের দলীয় নেতা-কর্মী নিয়ে ব্যাপক নির্বাচনি কর্মকা চালাচ্ছেন। তিনি মনে করেন এ আসন থেকে তিনিই বিজয়ী হবেন। অন্যদিকে সাবেক ছাত্রনেতা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাগুরা জেলা সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামালকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে পীর সাহেব রেজাউল ইসলাম নোমানী ময়দানের জনসভায় জনতার সামনে পরিচয় করে দেন। মোস্তফা কালাম জানান, ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি এ আসন থেকে একটি সম্মানজনক ভোট পেয়েছিলেন সে কারণে ইসলামী জোট হলে তিনি হবেন এ আসনের ইসলামী জোটের প্রার্থী।