বাংলাদেশের জনগণের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা পূরণে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অগ্রগতির ক্ষেত্রে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক পেং শিউবিন রবিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এই প্রতিশ্রুতি দেন।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
সাক্ষাৎকালে পেং বলেন, দুই দেশের রাজনৈতিক দলের মধ্যে যোগাযোগ বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ এবং সিপিসি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং শিক্ষাবিদদের সাথে এই বিনিময় সম্প্রসারণে আগ্রহী।
তিনি বলেন, চীন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদারে কাজ করবে, অবকাঠামোগত উন্নয়নে সমর্থন অব্যাহত রাখবে এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতা ও জনগণের মধ্যে বিনিময় বাড়াবে।
পেং আরও বলেন, চীন নিকটতম প্রতিবেশী এবং উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশকে দৃঢ় সমর্থন দিয়ে যাবে, যা দেশটির ‘প্রতিবেশী কূটনীতি’র অংশ।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফল চীন সফর এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে তাঁর ফলপ্রসূ আলোচনার কথা উল্লেখ করে পেং বলেন, বাংলাদেশ চীনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং বিশ্বস্ত বন্ধু।
পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দীন ‘এক চীন নীতি’র প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত এবং প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সফল চীন সফরে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, এই সফর বাণিজ্য, বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতসহ একাধিক ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে।
পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের রোগীদের জন্য চীনের কুনমিংয়ে বিশেষ চিকিৎসা সুবিধা প্রদানের জন্য চীনা সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
ভিসা প্রক্রিয়ার সহজীকরণে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ঢাকা-কুনমিং রুটে সাশ্রয়ী বিমান ভাড়া বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসার জন্য চীনগমনে আরও উৎসাহিত করবে।
তিনি চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানোর অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একশরও বেশি সদস্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের আসন্ন সফর দুই দেশের দৃঢ় অর্থনৈতিক সম্পর্কেরই প্রতিফলন।
সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়।
সূত্র : বাসস
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত