দেশেই তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের মিতসুবিশি এক্সপ্যান্ডার, প্রোটন এক্স৭০, মার্সিডিজ ওএফ১৬২৩, জ্যাক ডি৮৭০১ সহ বিভিন্ন মডেলের গাড়ি। এ ছাড়া পরিকল্পনায় রয়েছে প্রোটন এক্স৯০, জিএসি টি৮, সিএসি টি৯, এমজিসহ আরও কয়েকটি মডেলের গাড়ি। এসব গাড়িতে ক্রেতাদের আমদানি করা গাড়ির চেয়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ খরচ কম হবে। গাজীপুরের কাশিমপুরের র্যানকন অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় গাড়ির মূল কাঠামো ও অন্যান্য অংশ রং করা, সেগুলো সংযোজন ও বাজারজাত করার আগে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আগামী জুনেই স্থানীয়ভাবে সংযোজিত প্রথম মিতসুবিশি এক্সপেন্ডার মডেলের গাড়িটি বাজারে আসবে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে কারখানায় দেখা যায়, আমদানিকৃত মিতসুবিশি ও প্রোটন ব্র্যান্ডের গাড়িগুলোতে কাজ করা হচ্ছে। গাড়ির মূল কাঠামো আমদানির পর পেইন্ট শপ, অ্যাসেম্বলি শপ, কোয়ালিটি কন্ট্রোল শপ ও ম্যাটেরিয়াল ওয়্যার হাউস এই চার ধাপে গাড়িগুলো তৈরি হয়। গাড়ি প্রস্তুতের পর দেশের প্রায় ১৪ ধরনের সড়কের ওপর চালিয়ে গাড়ির সক্ষমতা যাচাই করা হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে বর্তমানে নতুন সিবিইউ (বিদেশে নির্মিত) গাড়ি কিনতে গেলে ১২৭ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। আমদানি করা এসব গাড়ির থেকে দেশের তৈরি গাড়িতে অন্তত ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কম দামে বাজারে মিলবে।
মিতসুবিশি মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ হামদুর রহমান সাইমন বলেন, বর্তমানে র্যানকন অটো ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানাটিতে চারটি গাড়ি সংযোজন করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে জাপানের মিতসুবিশি এক্সপেন্ডার ও মালয়েশিয়াভিত্তিক প্রোটন এক্স৭০। উৎপাদনের পথে আছে জার্মানভিত্তিক বাণিজ্যিক বাস মার্সিডিজ ওএফ১৬২৩ ও চীনভিত্তিক পিকআপ ট্রাক জ্যাক ডি৮৭০১। এ ছাড়া কারখানায় প্রোটন এক্স৯০, জিএসি টি৮, সিএসি টি৯ ও এমজিসহ বেশ কিছু গাড়ি তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে। র্যানকন অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. বদিউজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে একমাত্র আন্তর্জাতিক মানের টেস্ট ট্র্যাক রয়েছে এই কারখানায়।