চট্টগ্রামের ১৬ আসনে শুরু হয়েছে নির্বাচনি হাওয়া। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা চষে বেড়াচ্ছেন এলাকার অলিগলি। করছেন গণসংযোগ। পিছিয়ে নেই জামায়াতে ইসলামীও। দলটির প্রার্থীরা শুরু করেছেন গণসংযোগ। উভয় দলই এরই মধ্যে চট্টগ্রামের সব কটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ‘বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তৃণমূলে কাজ শুরু করেছেন। নির্বাচনের সব প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হোক।’ বিএনপির বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক হারুন উর রশিদ বলেন, ‘১৬ বছর ধরে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে বিএনপি। একেকটি আসনে আমাদের ছয় থেকে সাতজন মনোনয়নপ্রত্যাশী। নির্বাচন সামনে রেখে তৃণমূলে কাজ করছেন তাঁরা।’ চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি, ফটিকছড়ি আসনে দলের প্রার্থী অধ্যক্ষ নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন, ‘এরই মধ্যে চট্টগ্রামের ১৬ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত। তাঁরা নিয়মিত সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন। জনগণও জামায়াতের প্রার্থীদের সাদরে গ্রহণ করছে।’ জানা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে গত মার্চে চট্টগ্রাম মহানগর, জেলা, উপজেলা এবং থানা পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে আড়াই শতাধিক ইউনিটে একযোগে ইফতার পার্টির আয়োজন করেন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তাঁরা চষে বেড়াচ্ছেন স্ব স্ব এলাকার অলিগলি। নিয়মিত করছেন উঠান বৈঠক। অংশগ্রহণ করছেন নানান সামাজিক অনুষ্ঠানে। কেউ কেউ নির্বাচনের জন্য কেন্দ্র কমিটিও গঠন করেছেন। নির্বাচনি আগাম প্রস্তুতির উত্তাল ছড়িয়ে পড়েছে আসনে আসনে।
এদিকে, সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীর অনুসারীরা জড়িয়ে পড়েছেন সংঘাতে। এতে ঘটছে একের পর এক খুন। চট্টগ্রামে আসনভিত্তিক গণসংযোগ চালিয়ে যাওয়া মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, গিয়াস কাদের চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, আসলাম চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সাকিলা ফারজানা, আবু সুফিয়ান, গাজী শাহজাহান জুয়েল, শওকত আজম খাজা প্রমুখ। ১৬ আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন শাহজাহান চৌধুরী, অ্যাডভোকটে সাইফুর রহমান, অধ্যক্ষ নুরুল আমিন চৌধুরী, আলাউদ্দিন সিকদার, আনোয়ারুল সিদ্দিকী, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান, অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, মাওলানা জহিরুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।