ক্রিকেট বিশ্বের বড় তারকা নন। স্পেশালিস্ট হিসেবে ইংল্যান্ডের হয়ে ১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছেন। পরের বছর, ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে ইংলিশ ক্রিকেটার নেইল ফেয়ারব্রাদারকে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটে ছয় ম্যাচ খেলাতে উড়িয়ে আনে আবাহনী। সেবার তার সঙ্গী ছিলেন বাঁ হাতি স্পিনার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ। যিনি চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্টে এখন আম্পায়ারিং করছেন। আবাহনীর হয়ে প্রথম পাঁচ ম্যাচে বড় কোনো ইনিংস খেলতে পারেননি ফেয়ারব্রাদার। স্কোরগুলো ছিল যথাক্রমে ২৫, ৪৭*, ৪১, ৪ ও ০। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের বিপক্ষে অলিখিত ফাইনাল ম্যাচটি আগে ফেয়ারব্রাদারের ছন্দ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন আবাহনীর টিম ম্যানেজমেন্ট। আবাহনীর হয়ে দুই ইংলিশ ক্রিকেটার ছাড়াও সতীর্থ ছিলেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আকরাম খান, ফারুক আহমেদ, হারুনুর রশিদ লিটন, সাইফুল ইসলামদের মতো তারকা ক্রিকেটার। ম্যাচটিতে ৭ উইকেটে ২৪০ রান করেও জিতেছিল আবাহনী। ম্যাচটি ফেয়ারব্রাদার খেলেছিলেন অভিশ্বাস্য এক ইনিংস। ৮৫ বলে ৯০ রানের ইনিংসটির কথা এখনো জ্বলজ্বল করছে আকরাম খানের স্মৃতিতে। ফেয়ারব্রাদারের ইনিংসটি নিয়ে আকরাম বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন হতে আবাহনীকে শেষ ম্যাচে মোহামেডানকে হারাতেই হতো। একই সমীকরণ ছিল মোহামেডানের। আবাহনীতে ছিল ফেয়ারব্রাদার ও ইলিংওয়ার্থ। মোহামেডানে খেলেছিলেন অথুলা সামারাসেকেরা ও অশোকা ডি সিলভা। আমরা প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৪০ রান করেছিলেন। অথচ ম্যাচে এত রান করার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু ফেয়ারব্রাদার ৯০ রানের যে ইনিংসটি খেলেছিলেন, সেটা ছিল অতিমানবীয়। প্রথম ৩৮ ওভারে ৩ উইকেটে ১২২ রান করেছিলাম আমরা। পরের ৭ ওভারে ১১৮ রান করি ফেয়ারব্রাদারের ব্যাটিং তান্ডবে। অবশ্য আমিও ৫৫ বলে ৫৪ রান করেছিলাম। প্রিন্স ভাইকে দুটি ছক্কা মেরেছিলেন ফেয়ারব্রাদার, যে দুটি বল পড়েছিল গ্যালারির দোতলায়।’ ৪৫ ওভারের নির্ধারিত ম্যাচটি আবাহনী জিতেছিল ২৩ রানে। মোহামেডান করেছিল ২২৩ রান। অথচ ম্যাচটিতে আবাহনীর কর্মকর্তারা ছন্দহীনতায় ড্রপ দিতে চেয়েছিলেন ফেয়ারব্রাদারকে।