রপ্তানি খরচ কমাতে ও সমুদ্রের অভ্যন্তরীণ রুটগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে আগামী মাসে চট্টগ্রাম-মোংলা রুটে কনটেইনার জাহাজ চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। ‘আমদানি-রপ্তানি সুবিধা বৃদ্ধি ও বৃহত্তর খুলনার অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের (এমপিএ) জনসংযোগ ও গণমাধ্যম বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মকরুজ্জামান।’ তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে একটি কনটেইনার জাহাজের পরীক্ষামূলক চলাচলও সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম-মোংলা রুটের মধ্যে ১০০টি কনটেইনারের পরীক্ষামূলক চালান পরিবহন করা হয়েছিল। এ সাফল্যের পর কোম্পানি মে মাসে নিয়মিত ও আনুষ্ঠানিক কনটেইনার পরিবহন শুরু করার পরিকল্পনা করছে। এই কনটেইনারগুলো মোংলায় মাছ, হিমায়িত পণ্য ও পাটের মতো জিনিসপত্র পরিবহন করা হবে এবং তারপর চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে এগুলো রপ্তানি করা হবে। ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে মোংলা থেকে সরাসরি কনটেইনার পরিবহনে খরচ কম হবে। তবে যেহেতু এটি নিয়মিত পদ্ধতি নয়, সে ক্ষেত্রে খরচ ও সময় উভয়ই বৃদ্ধি পাবে।
এ বিষয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, ‘মোংলা বন্দর বর্তমানে আগের চেয়ে অনেক বেশি গতিশীল ও আশাব্যঞ্জক হয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি বন্দরের সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলমান প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে, আশপাশের অঞ্চলের অর্থনীতি আরও উন্নত হবে।’ তিনি বলেন, রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকরা এখন সন্তুষ্ট এবং আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে সহজে পণ্য লোড ও আনলোড করার জন্য এ বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বন্দরে দেশি-বিদেশি উভয় জাহাজের সংখ্যা বাড়ছে, কারণ এখানে কোনো জাহাজ জট নেই। তিনি বলেন, ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি বন্দর এলাকার উন্নয়ন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হওয়ার পর চট্টগ্রাম-মোংলা রুটে কার্যকর কনটেইনার পরিবহন দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মোংলা বন্দর বার্থ অ্যান্ড শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম-মোংলা রুটের মধ্যে কনটেইনার জাহাজ চলাচল শুরু হলে, সময় ও রপ্তানি খরচ উভয়ই কমে যাবে।’ মোংলা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও এটি একটি লাভজনক সমুদ্র বন্দর।